গদ্যের বড়দিনে মালা মিত্র

এত আলো জ্বালিয়েছ এই গগনে…….

বড়দিন, বার মাসের তের পার্বণে, এক পার্বণ।জাতী, ধর্ম নির্বিশেষে সবার এক বিশেষ দিন।গুণে চলা তিন’শ পঁয়ষট্টি দিন, আসে সেই দিন। ডিসেম্বর মাস পড়তে পড়তে সেই ভালোলাগাটুকু, মৃদু ঠান্ডা হাওয়ার মতই মনকে ছুঁয়ে যায়।
আলমারিতে যত্নে রাখা, রঙিন সোয়েটার, মাফলার, শাল ন্যাপথলিন গন্ধ মেখে বাইরে বেরয়।
নতুন খেঁজুর গুঁরের গন্ধে ম ম করে ওঠে পাড়া, শুরু হয় না না রকম পিঠে পায়েস।
ত্রিভুবন কর্তা প্রভু যীশুর এইদিন জন্মদিন মানা হয়।
ধনী দরিদ্র সবাই মেতে ওঠে এই বিশেষ দিনটিতে।
যে যেমন পারে কেক মিষ্টি কেনে।
খৃষ্ট ও ইসলাম ধর্মে একথা প্রচলিত, জগৎত্রাতা প্রভু মাদার মেরীর কুমারী অবস্থাতেই গর্ভে এসেছিলেন।
বড়দিন সর্ব ধর্ম নির্বিশেষে পালন করেন বিশ্ববাসী।
কেউ কেউ ঘরে ক্রিসমাস ট্রি সাজান, শিশুদের বিশ্বাস স্যান্টাক্লস চব্বিশ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাদের প্রিয় , খেলনা চকোলেট নানা রকম জিনিস মোজায় পুরে রেখে যান।
প্রভু যীশুর ক্রশিফায়েডের ঘটনা মনে রাখতে ভাল লাগে না,বরং তার জ্যোতির্ময় রূপ দেখতে বেশী ভাল লাগে,যদিও জানি তিনি পুনরুজ্জীবিত হয়েছিলেন।
২৫ডিসেম্বর সর্ব ভারতীয় ছুটির তালিকায় পড়ে, তাই প্রত্যেকেরই আনন্দ উদ্দীপনা বেশীই থাকে।প্রভু যীশু বিশ্বজনীন মিলন ঘটিয়েছিলেন।
বিশ্বে যত ধর্ম আছে তাঁর প্রচলিত খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ বেশী।
রবীন্দ্রনাথের সুরে আমাদের সুর মিলিয়ে বলতেই পারি,’ ওগো সবার, ওগো আমার, বিশ্ব হতে চিত্তে বিহার, অন্তবিহীন লীলা তোমার, নুতন নুতন হে,প্রভু আমার প্রিয় আমার পরম ধন হবে, চির পথের সঙ্গী আমার চিরজীবন হে ‘।
এমন বলতেই পারি,’ চারিদিকে সুধা ভরা,ব্যাকুল শ্যামল ধরা,কাঁদায় রে অনুরাগে;দেখা নাই পাই,সেও মনে ভাল লাগে, প্রভু তোমা লাগি আঁখি জাগে ‘।
পরিশেষে কবির সাথে গলায় গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠি ,’ এত আলো জ্বালিয়েছ, এই গগনে, কি উৎসবের লগনে ‘।
হ্যাঁ উৎসব,মহোৎসব, আজ প্রভুর জন্মদিন,আজ বড়দিন, এই পুণ্যদিনে মহান ত্রাতা কে জানাই, আমার অন্তরের প্রণাম ও ভালবাসা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।