ক্যাফে গল্পে মেরী খাতুন

“ধার শোধ”

রাজীব যেন আগে থেকেই জানত যে,ও বাবার প্রফেশনটাই বেছে নেবে।তাই দ্বিরুক্তি না করে ভর্তি হয়ে গেল ল কলেজে।
এমনিতেই রাজীব ভীষণ স্মার্ট এবং ড্যাশিং-পুশিং ছেলে।কোনও কিছুতে কখনও হারতে শেখেনি।ল কলেজে গিয়েও ও সবার মধ্যমণি হয়ে উঠলো।দারুণ পপুলার, হইহই করে আড্ডা মারে,প্রচুর বন্ধুবান্ধব এবং সাধারণত ও সবার উপকার করে।রাজীবের সামনে কেউ বিপদে পড়লে রাজীব তাকে বাঁচাবেই।যাকে বলে আইডিয়াল হিরো।
মহিমার সঙ্গে আলাপ ওর ল কলেজেই।সহপাঠিনী এবং বান্ধবী।প্রথমে অবশ্য বন্ধু হয়নি। মহিমা ওকে মোটেই পাত্তা দিত না।যে ছেলেটিকে ক্লাসের সবাই এত ভালোবাসে সেই ছেলেটিকে মহিমা ধর্তব্যের মধ্যেই ধরত না।
আর এই কারণেই রাজীবের জেদ চেপে গিয়েছিল মহিমার সঙ্গে ও ভাব করবেই। রাজীবের বন্ধুরা বলল,তুই ওর সঙ্গে ভাব করবি? ও কোন ছেলের সাথে কথাই বলে না। সবসময় ললনাদ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে, কখনও কো-এডুকেশনে পড়েনি বোধ হয়। ছেলেদের ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলে।
—–ছোঁয়া তো দুরের কথা ওকে আমি সবার সামনে চুমু খাব।
—–আরে যা যা, কথা বলারই সাহস পাবি না তা আবার চুমু খাওয়া? কৌশিক টুসকি মেরে বলল।
একদিন সত্যিই ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে রাজীব কৌশিকদের সঙ্গে গল্প করছে এমন সময় মহিমা ওর দলবল নিয়ে এসে পড়ল।পাশ কাটিয়েই চলে যাচ্ছিল ওরা, রাজীব সোজা গিয়ে ওর সামনে দাঁড়ালো।
——আমি রাজীব,তোমার সাথে আলাপ করতে চাই।
মহিমা ভ্রু তুলে দাঁড়ালো।
—এক ক্লাসেই তো পড়ি, আমি কি বাঘ না সিংহ যে তোমাকে খেয়ে ফেলবো? আমাকে দেখে পালাও কেন? রাজীবের কথা শুনে মহিমা একটা হাসি ভাব করলো,অথচ হাসল না।অর্থাৎ মহিমার দাঁত বের হলো না কিন্তু গালে টোল পড়লো।যেন বেশ একটা নাটক দেখছে, এরকম একটা মুখভঙ্গি করলো,তারপর শান্ত গলায় বললো হলো তো আলাপ? বলেই পাশ কাটিয়ে ঢেউ তুলে চলে গেল সখীদল নিয়ে।
রাজীবের বন্ধুরা হেসে উঠলো হো হো করে। রাজীব সামান্য অপ্রস্তুত।মেয়েটা ড্যাম স্মার্ট, সন্দেহ নেই।
—-কেমন? বোকা বানিয়ে চলে গেল তো? যীশু টিপ্পনী কাটলো,তুই কি ডেবেছিলি তুই আলাপ করতে চাস শুনে ও একেবারে গলে গিয়ে তোর সাথে হ্যান্ডশেক করবে?
—-হ্যান্ডশেক মানে হাতে হাত? রাজীবের সাথে মহিমা? হরি দিন তো গেল সন্ধ্যে হলো পার কর আমারে। এ জন্মে হবে না বুঝলি?
কৌশিক রাজীবের নাকের সামনে হাত নাচালো।
—–শুধু হাতে হাত তোদের সবার সামনে আমি ওকে চুমু খাবোই।
——চ্যালেঞ্জ? রাজীবের বন্ধুরা একবাক্যে জিজ্ঞাসা করলো।
——-চ্যালেঞ্জ। রাজীব ও বুক ঠুকলো।
প্রত্যেকটা ক্লাসে রাজীব দারুণ পারফর্ম করতে লাগলো।মহিমাও কম যায় না। প্রফেসাররা দুজনকেই প্রশংসা করেন।একদিন একটা মক কোর্টের মক ট্রায়াল সিন করা হলো ক্লাসে।বাদি ও বিবাদি পক্ষের উকিল দাঁড়ালো মহিমা আর রাজীব।
সেই ছদ্ম আদালতে কিন্তু রাজীব হারিয়ে দিল মহিমাকে।দারুণ সওয়াল জবাব চললো।জমে গেল আদালত দৃশ্য।শেষ পর্যন্ত রাজীব তার মক্কেলকে বেকসুর খালাস করে নিল।যে অধ্যাপক জাজ হয়েছিলেন, তিনি দুজনেরই প্রশংসা করলেন কিন্তু রাজীবের পিঠ চাপড়ে বললেন, তুমি একদিন বিখ্যাত উকিল হবে।সম্ভব হলে ব্যারিস্টারটাও করে নিও।
রাজীব আনন্দে টগবগ করছিল।
সেদিনই করিডোরে দুজনে একেবারে মুখোমুখি।রাজীব এগিয়ে গেল,নাটকীয়ভাবে বাও বললো,’উড ইউ মাইন্ড ইফ আই কিস ইউ।’
টানটান দৃষ্টিতে রাজীবের স্পর্ধা লক্ষ করলো মহিমা, বললো স্মার্ট বয়!
এক পা তুলে দাঁড়াও তো। এমনভাবে হঠাৎ বললো, রাজীব কিছু না ভেবেই এক পা তুলে দাঁড়িয়ে পড়লো।মহিমার হাসি চলকে সখীদের গায়ে গিয়ে পড়লো।
—-এবার দু পা তুলে দাঁড়াও, যে দিন দু পা তুলে হেঁটে আসবে আমার কাছে, সে দিন তোমার মনস্কামনা পূর্ণ করে দেব।
এটা যে তীব্র অপমান সেটা বুঝতে কারোও বাকি রইলো না।
রাজীব কিন্তু দমল না।সোজা মহিমার সামনে দশহাত দূরে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ালো।একেবারে মহিমার সামনে চলে এলো,মহিমার মুখটা কাছে টেনে গালে শব্দ করে চুমু খেল।
কেউ কিছু বোঝার আগেই ঘটে গেল ব্যাপারটা।যেন একটা রাশিয়ান ছবির দৃশ্য।মহিমার বান্ধবীরাও হি হি করে হেসে উঠলো, সিটি বাজিয়ে উঠলো যীশু আর কৌশিক।
লজ্জায় মহিমার ফর্সা মুখ টকটকে লাল হয়ে গেল।ও গালে রুমাল ঘষতে ঘষতে সোজা ছুটে গিয়ে ঢুকল কমনরুমে।
আপাত–বাহবার বন্যায় ভাসলেও রাজীব আর ওর বন্ধুরা ভাবল,যে কোন মুহূর্তে প্রিন্সিপালের কাছ থেকে রাজীবের ডাক আসবে।যতই রাজীব বাহাদুরি দেখাক, কাজটা যে পানিশেবল,সে বিষয়ে তো সন্দেহ নেই। মহিমা যদি কমপ্লেন করে,রাজীবের কোনও ছাড় নেই।আর মহিমা যা অপমানিত হয়েছে, ও কিছুতেই কি ছাড়বে।
কিন্তু রাজীবের কোনও ডাক এলো না প্রিন্সিপালের কাছ থেকে।
বন্ধুরা বললো, বেঁচে গেলি।ও বুদ্ধিমতী মেয়ে, এই নিয়ে আর হুজ্জুতি করলো না।
—-আমার কিন্তু ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজীব নিজেই বললো।
সত্যিই ছুটির সময় সবার সামনে রাজীব হাতজোড় করে মহিমার কাছে ক্ষমা চাইলো, প্লিজ, ফরগিভ মি,আমি খুব অন্যায় করেছি। মহিমা কোনও কথা বললো না। একবার শুধু তাকাল।ওর চোখ লাল হয়ে আছে।বোঝাই যাচ্ছে খুব কেঁদেছে।
রাজীব বারবার ক্ষমা চাইলো। মহিমা মাথা নীচু করে গেট দিয়ে বার হয়ে গেল।
পরদিন মহিমা কলেজ এল না।
তার পর দিনও না।
কোনও দিনও না। মহিমা কলেজ ছেড়ে দিল।
প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিয়ে একটা আলোচনা চললেও ধীরে ধীরে ধামাচাপা পড়ে গেল।রাজীবের বন্ধুরা মাঝে মধ্যে মহিমার প্রসঙ্গ তুলতো,কেউ বলতো মেয়েটির ব্রিলিয়ান্ট ভবিষ্যত নষ্ট করে দিল।রাজীব কিন্তু কোনও কথা বলতো না।একটাও না।জলে ঢিল ছুড়লে ঢেউ ওঠে,আবার এক সময় থেমেও যায়। সবাই যেন ভুলেই গেল মহিমার কথা।
যথা সময়ে রাজীব ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে ল কলেজ থেকে বেরোল। আর দেখতে দেখতে একজন ভালো অ্যাডভোকেট হয়ে উঠলো।বেশ নাম করতে লাগলো।
আরও বছর তিনেক পর রাজীব বিয়ে করলো।
রাজীবের ল কলেজের বন্ধুরা নেমন্তন্ন খেতে এসে তো হতবাক।রাজীবের নববধূ আর কেউ নয়–মহিমা।
বন্ধুদের কানে কানে রাজীব বললো,মেয়েটার ভবিষ্যত তাহলে নষ্ট করে দিইনি, কী বল?
——রিয়েলি ব্রিলিয়ান্ট। বন্ধুরা হইহই করে হেসে উঠলো।
মহিমাও সেই হাসিতে যোগ দিল।
রাগে দুঃখে ল কলেজ ছেড়ে দিয়েছিল মহিমা।তখন ওর মনে হয়েছিল পৃথিবীতে যদি ওর কোন শত্রু থাকে তা হলে তার নাম রাজীব।কোনও দিন ক্ষমা করবে না ওকে।তবে ওর ভিতরের অহংকার চূর্ণ হয়েছিল, এ কথাও সত্যি।
ল কলেজের কোনও কোনও বান্ধবী রাজীবকেই সমর্থন করেছিল।সেই সব ভেবেও ও ল কলেজ ছেড়েছিল,বান্ধবীদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখেনি।
মহিমা তাই বলে বাড়ি বসে থাকার মেয়ে নয়।ও বি- এড কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।সত্যি বলতে কি মহিমার মা পাপিয়া প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন মহিমা বি-এড করে কোনও স্কুলে শিক্ষকতা করুক।বরং ল পড়ার ব্যাপারে সমর্থন মহিমা পেয়েছিল। মাঝপথে ল পড়া ছেড়ে দেওয়ার জন্য মহিমার বাবা অমলবাবু একটু অবাকই হয়েছিলেন।কারণ জানতে চেয়ে শুনেছিলেন, ল আমার ভালো লাগছে না বাবা।ব্যাস ওইটুকুই।
—–বি-এড কলেজে ঢোকার তোড়জোড় চলছে মহিমার। এমন সময় একদিন রাজীবের ফোন এলো।মহিমা তো অবাক।ক্লোজড চ্যাপ্টার থেকে আবার ন্যাপথালিনের গন্ধ উঠে আসছে নাকি?
প্রথম দু’দিন তো মহিমা ফোনে কোনও কথাই বলল না।অবশ্য ফোন নাম্বারটা রাজীব কোত্থেকে পেল সেটা জানার খুব আগ্রহ হয়েছিল।কিন্তু কোনও কথা বলল না রাজীবকে।ফোন তুললো এবং নামিয়ে রাখল।
—তৃতীয় দিন রাজীব বললো, ফোন নামিয়ে রেখে লাভ নেই।আমি জানতে চাই,তুমি কি আমার জন্য কলেজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হলে? বলো,উত্তর দাও প্লিজ। তবুও কোন কথা বলছিল না মহিমা। প্রবৃত্তিও হচ্ছিল না,সাহসও না।চুপ করে থেকে আমাকে এড়াতে পারবে না,সাহসও না।আমাকে তো চেনো তুমি। আমি তোমার বাড়ি চলে যাব।আমার কারণে যদি তোমার বাড়ির লোকেরা তোমাকে ভুল বুঝে থাকে তা হলে—-
—–আমাকে কেউ ভুল বোঝেনি।আমি স্বেচ্ছায় কলেজ ছেড়েছি।তোমার জন্য নয়।দয়া করে আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও
এভাবেই শুরু হল ওদের আলাম।
মহিমা ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলো রাজীব সত্যিই ভালো ছেলে।
পাপিয়া এবং অমলবাবু রাজীব–মহিমার বন্ধুত্ব জানলেন।বন্ধুত্বর ভিত্তিভূমিতে শত্রুতার ভূমিকা জানলেন না। ওরাও জানালো না। ওটা ওদের নিজস্ব শত্রুতা হয়ে রইলো। এইভাবে চলতে থাকলো আলাপচারিতা।
দুজনের বেশ কয়েকদিন দেখাটেখা হওয়ার পর একদিন ইকো পার্কে ঘুরতে গেল দুজনে।ওখানে সেভেন ওয়ান্ডার দেখতেই সন্ধ্যে নেমে আসলো।বাড়ি ফেরার জন্য বাসস্টপে দাঁড়িয়ে আছে।দুজনের রাস্তা আলাদা।দুজন দুদিকে যাবে।রাজীব মহিমাকে বাসে তুলে দিয়ে তারপর বাড়ি যাবে।মহিমা বেশ গম্ভীরভাবে বললো, তোমার কাছে আমার একটা ধার আছে।আর আমি ধার রাখা পচ্ছন্দ করি না।ভাবছি শোধ করে দিতেই হবে।
—–ধার কীসের ধার?
—–ওই বাস এসে গিয়েছে, এবার যেতে হবে, তার আগে… এইটুকু বলেই মহিমা লোকভর্তি বাসস্টপে দাঁড়িয়ে রাজীবের গালে শব্দ করে চুমু খেল।তারপর একছুটে গিয়ে বাস ধরতে ধরতে বললো “ধার শোধ।”
সবার মধ্যে রাজীব একেবারে লজ্জায় অপ্রস্তুতের একশেষ।কোনওমতে পালিয়ে বাঁচল।
—-বাড়ি ফিরে রাজীব ফোন করলো।এটা কি হলো মহিমা। সবার মধ্যে এভাবে আমার অবস্থাটা যে কী হল?
——আচ্ছা। সবার মধ্যে আমার অবস্থা কী হয়েছিল মনে পড়ে?
তাও তো তোমাকে এখানে কেউ চেনে না।আমার তো ইচ্ছে ছিল সুদ সমেত ধার শোধ করবো।মানে দু-গালে দুটো চুমু। যাক, পরে কোনও একদিন সুযোগ বুঝে……
—-এই,এই মহিমা, আচ্ছা দুষ্টু তো !
হাসতে হাসতে ফোন ছেড়ে দিয়েছিল মহিমা।
রাজীব ল পাশ করে বেরনোর আগে মহিমার বি-এড কোর্স শেষ হয়ে গেল আর রাজীব ওকালতিতে নাম করার আগেই মহিমা একটা স্কুলে চাকরিও পেয়ে গেল।মহিমা একদিন বললো ল ছেড়ে দিয়ে ভালোই করেছিলাম। তোমাকে সে জন্য ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করে। দুজনে একসঙ্গে পাশ করে এক সঙ্গেই লড়াই চালাতে হত কেরিয়ারের জন্য। কে আগে সফল হল এই নিয়ে মান-অভিমান শুরু হত।আমার তো মনে হয় স্বামী-স্ত্রীর আলাদা প্রফেশন হওয়াই ভালো।কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা নেই।
—-রাজীব চোখ টিপে বললো, সংঘাত? আমার তো মনে হয় তুমি “দিদিমুনি” ছাড়া আর কিছু হতেই পারতে না।
—–তবে যে দেখাচ্ছি মজা। কিল বাগিয়ে ছুটল মহিমা রাজীবের দিকে। রাজীব একলাফে সরে গিয়ে বললো বাট হোয়াট এভার মে বি, সংঘাত রিমেনস। ঝগড়া না হলে তোমায় মানায় না।
নিজের বাগানোর কিল মুঠো খুলে ছেড়ে দিল মহিমা।,কী আমি ঝগড়ুটে?
—-সো হোয়াট?তোমার এই রূপটাই সবচেয়ে ভালোবাসি আমি।কী মিষ্টি যে দেখায় ঝগড়ার সময়।
বিয়ের পরও রাজীব মহিমাকে মিষ্টি ঝগড়ুটে বলে খেপাত।
কোর্টে অবশ্য রাজীবকে দেখলে চেনা যায় না।গম্ভীর, অটুট, লক্ষ্য স্থির। সবাই জানে রাজীব চক্রবর্তী যে পক্ষের হয়ে দাঁড়াবে তারই জিত নিশ্চয়ই।দুর্দান্ত হোমওয়ার্ক করে রাজীব। কেসটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে স্টাডি করে।অজস্র পড়াশোনা করে ফাইল বানায়।অবশ্য এই ফাইল বানানোতে মহিমাও সাহায্য করে। মহিমার বেশ কিছুদিনের ল কলেজে পড়াশোনাটা এখানে কাজে লাগছে।বড় গলা করে রাজীবকে বলে,তুমি আমার স্কুলের খাতা দেখে দিতে পারবে না,কিন্তু আমি তোমার কেস ফাইল সজাতে কেমন সাহায্য করছি।
——তোমার সঙ্গে আমার তুলনা? তুমি হলে দশভুজা। কী ভাগ্যি উকিল হওনি, আমার ভাত মারা যেত।
কাজের পাশে কাজ, ঝগড়ার পাশে আদর,রাগের পাশে বোঝাবুঝি মিলিয়ে মহিমা আর রাজীবের সংসার ভরে উঠেছে। সম্মান, অর্থ, ভালোবাসা দু-হাতের অঞ্জলি ছাপিয়ে উপচে পড়ছে রোজ রোজ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।