• Uncategorized
  • 0

গল্পবাজে মৌমিতা ঘোষ

অসমাপ্ত

মেয়েটি সম্পর্ক থেকে হয়ে গিয়েছিল বাজপড়া গাছ। ছেলেটি চারবছরে প্রেমিকার কাছে নিজের অবস্থানটি বুঝতে পারেনি। ওরা দুজনে ই তবু সম্পর্কে আছে গভীর ভাবে, না থাকা সম্পর্ক যে কীভাবে মানুষের ভিতরে বসত গড়ে! তারপর একদিন মেয়েটির আর ছেলেটির দেখা হয় । নিছকই ‘বাজিয়ে দেখা’ হয়না আর। ওরা যখন আঙুল জড়িয়ে ফেলে আঙুলে তখনো সেই আঙুলে থাকে পুরোন বা বর্তমান গুলিয়ে যাওয়া সম্পর্কের দাগ। ওরা ঠোঁট রাখে ঠোঁটে। সেই সময়টা থেমে যাক মেয়েটি চায়। ছেলে চায় কিনা মেয়ে জানেনা। ছেলে জানেনা এ মেয়েকে কেমন করে সামলাতে হয়। শরীরে না মনে? ওরা কথা বলে। সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে দেখা না হলে কেমন শূন্য লাগে। কিন্তু সম্পর্ক নামক গাছ শেকড়বাকড় ছড়ায় না ওদের মধ্যিখানে। ওরা ওই শূন্যতাটা কিছুক্ষণ ভরিয়ে তোলে ,পথ চলতে দুজন দুজনকে সামলায় গাড়ির ধাক্কা থেকে। নাকি সামলাতে গিয়ে ছুঁয়ে থাকতে চায়? নাকি দুটোই সত্যি। ওরা অনর্গল কথা বলে। তারপর চুপ করে থাকে। তারপর মেয়েটি অভিমানী চোখে তাকায়। কী আশ্চর্য! ছেলেটি পড়তে পারে তার ভাষা। ওরা প্রাণপণে একে অপরকে অবিশ্বাস করে, তবু নিশ্চিত ছলনার হাত ধরে অনেকটা পথ চলে। ‘ভালো তো বাসি না,” ভেবে নিশ্চিন্ত হয়। কফিশপ, লিফট সব জায়গার ক্যামেরাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড় রাস্তায় চুমু খায় ওরা। রাস্তায় লোক চোখ ঢাকে বোধহয়।কে জানে? খেয়াল করেনি ওরা। মেয়েটি ফেরে। ছেলেটি হাত নাড়ে।বাসের ভিড়ে মেয়েটি সেঁধিয়ে যায়। ভাগ্যিস, সেই কথাটা বলে ফেলিনি ভেবে দুজনেই নিশ্চিন্ত হয়। ছেলেটি কি ভালোবাসে? নিশ্চয়ই না। মেয়ে সেকথা ভেবে আরো নিশ্চিন্তে ঘুমের বড়ি খায়।
দুজনের খাতায় অসমাপ্ত একটি গল্প পড়ে থাকে পরের দিন ঠিক লেখা হবে বলে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।