কবিতায় মানস ঘোষ

১। চন্দনের বনে

বেদ কোরান বাইবেল ত্রিপিটক
সব পড়ে ফেললে,
ভেদ করতে চাইলে সৃষ্টির অপার রহস্য !
জানতে চাইলে কী আছে মৃত্যুর পরে…
চোখ বেঁধে এনেছিল দস্যুর ডেরায়,
ফের কানামাছি হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে..
ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে থাকল
তোমার ঐ কোঠা – দালান, ধানের মরাই… দীঘি, পানকৌড়ি…
ঠিক সেই অর্ধচেতন কালে,
চিরসত্যের এক অস্ফুট আভাস পেলে বুঝি…
কীট পতঙ্গের চেয়ে মানুষের আয়ু
সামান্যই বেশি…
শুধু প্রকৃতি চিরন্তন, –
চন্দনের বিস্তৃত বনানী !

২। অকুতোভয়

অনেকটা অসংবৃত সময়…
আঁচলের অনবধানতায়
গল্পেরা মেতে ছিল
বখাটে উচ্ছ্বাসে …
তু্ই মনে করালি, কবিরা সাহসী হয়, – অকুতোভয় |
তখনি ..
পায়ের পাতাটা শিরশির করে উঠলো,
রক্ত চলকে পড়লো ক্যানভাসে সূর্যাস্তের মতো …
আঙ্গুলগুলো ক্রমাগত লম্বা আর সূচালো
হয়ে উঠতে লাগলো
আঁচড় কাটার জন্য
তুলি কলম হয়ে কবিতার খাতায় |
না, ভয় নেই আর।
জানিসই তো,- কবিরা গাছ হয়, হাওয়া হয়, আগুন
অথবা গাঢ় অন্ধকার !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।