“আজীব ইয়ার, তুই অ্যাব্রড যাচ্ছিস, আর আমি খুশি হব না?”
“এতটা খুশি দেখাচ্ছিস যেন তুইই যাচ্ছিস।”
“কাম অন, আমি এত খুশি তোর জন্য,সেটাতে তোর প্রবলেম? আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড!”
“এত খুশি হওয়ার কারণটাতো জানি আমি বস্।”
এবারে একটু রেগেই গেল সুদীপ্ত। এসেছিল খুব খুশি হয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড রণিত কে কনগ্রাচুলেট করতে।ওর রকমসকম দেখে রীতিমতো হতাশ সুদীপ্ত।
“জানিস তো বল।আমিও জানি।”
” আরে, এই তো একদিনেই বেশ স্মার্ট হয়ে গেছিস, কায়দা করে কথা বলছিস।”
” এই তোর প্রবলেমটা কী? নাহয় তুই যাচ্ছিস, আমার হয়নি, তাতে এত ভাঁজ নেওয়ার কী হয়েছে? আর আমি কিনা ছুটে ছুটে তোকে কনগ্রাচুলেট করতে এলাম!”
” ভাই , আমি গেলেই তো বন্ধুমহলে তুই হিরো। এতদিন আমাদের গান শুনতো সবাই, এখন তুইই তুই। হেঁড়ে গলায় গিটার বাজিয়ে যা-ই গাস, লোকে হামলে পড়বে।আমি তো আর নেই।”
“ও। রিয়েলি, এতদিন যারা ভিড় করে শুনতো তারা তোর জন্য শুনতো শুধু? হাসালি। “
” ঠিক তাই।আর এতদিনে তো তুই শিখেই গেছিস কী করে স্টাইল মারতে হয়। আমার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে তো শপিং করতে শিখলি।আমি গেলে একাই কেত মেরে ঘুরে বেড়াবি আর সবাইকে দেখাবি তুই কত স্মার্ট। কেউ তো জানবে না যে তুই পাজামা ছাপ।আগে ভিখারির মতো জামাকাপড় পরতিস।”
” এই এনাফ হয়েছে, হ্যাঁ । তোর বকওয়াস আর শুনতে পারছি না আমি।”
” কেন, কেন বলব না? আমাদের কনসার্ট গুলো এখন তোর, তোর উপর সবার দৃষ্টি , তুই তো চাইবিই আমি তাড়াতাড়ি যাই।আর আমি গেলে সেকেন্ড বেস্ট থেকে বেস্ট হওয়ার পথ তোর খোলা। “
সুদীপ্ত কলারটা চেপে ধরে রণিতের, ” আর একটা কথা যদি বলিস, ভুলে যাবো যে তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।”
” সত্যি কথা শুনতে সবার খারাপ লাগে। আমি গেলেই চান্দ্রেয়ী তোর হয়ে যাবে ভাবছিস? ভাবছিস আমি এক বছরের আগে তো ফিরতে পারবো না, তুই তড়িঘড়ি বিয়ে করে নিবি ওকে।”
রণিত হিসহিসিয়ে বলে।
এবারে কলার ছেড়ে দেয় সুদীপ্ত। হাসতে হাসতে বলে, ” যাহ্ শালা, তুই বিদেশে অত বড় ইউনিভার্সিটি তে চান্স পেয়েছিস, আমার তোকে হিংসে করার কথা, এ তো দেখছি, তুইই…।
চালিয়ে যা বস, দরকার হলে যাওয়া ক্যানসেল করে দে। ইওর ইনসিকিওরিটি ইজ এনজয়েবল। বাই। টিকিট ক্যান্সেল করলে জানাস, আমার সোলো কনসার্টের টিকিট দিয়ে যাবো।
বাইকের আওয়াজ মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে।রণিতের বেস্ট ফ্রেন্ডও।