উমা যাবে শ্বশুর বাড়ি
বাপের বাড়ি ছেড়ে…
উমার ঘরে বড়োই অভাব
থাকে এক কাপড়ে !
নেশা করে বুড়ো বর
কাজে অষ্টরম্ভা
সংসার চলার ঝকমারিটা
বোঝেন জগদম্বা!
ভিক্ষার চালে পেট ভরে না
চোখে আসে জল
চারটি বাচ্চা খিদেয় কঁকায়
সবই কর্মফল !
বাপের দেশের ভাই বোনেরা
কোটি টাকা উড়োয়
একটু খানি হাত বাড়ালেই
উমার অভাব জুড়োয় !
পুজো ফুরোয় পাড়া জুড়োয়
উমা যাচ্ছে ফিরে
হাজার উমা সারা বছর
থাকে এক কাপড়ে!
সেই তুমি
শরৎ এলেই তোমায় পারি বেশ কিছুটা চিনতে
কুড়ি পয়সার বিনিময়ে তুমিই ঘুড়ি কিনতে।
বিকেল মেঘের পাড়ায় পাড়ায় যেতে কি না বলো?
ঘুড়ি হয়ে উড়তে যে খুব মেখে মেঘের তুলো!
দেখো চেয়ে সেই সোনা রং ছড়ানো আকাশে
তেমনি আছে ,একটুও তার হয়নি যে ফ্যাকাসে।
শালুক দিঘি, নদীর চড়া ধানের সবুজ লহর
আগের মতোই ছড়ায় খুশি বদলে গেছে শহর।
শরৎ যেন বোষ্টুমি এক গাইছে আগমনি
কাশ ফুলেরাও দুলিয়ে মাথা বাজায় খঞ্জনি।
সময় শুধু পা ফেলে যায় –সবই আছে একই
হাত বাড়িয়ে খুঁজে নাও না কোনটা আসল মেকি!