প্রতি অঙ্গের রক্ত মাংসে প্রত্যহ আমার
ভেসে ওঠে বুদবুদের মতো থইথই অভিমান,
ক্ষণিকের শীতল বাতাসের পরশে বিলয়,
অগত্যা মন পথ হাঁটে গত্যন্তর না পেয়ে।
বার বার বিমুখ হয়েছি বৃষ্টি চেয়ে,
বোঝেও না বোঝার করো ভান,
সুখের সম্রাট হয়ে রাখতে চেয়েছো মান।
অকাতরে দিয়েছি তো যা ছিল আমার,
ভুলে যাওয়ার প্রয়াস ত্রুটিহীন নিখাদ
খাল বিল হৃদয় উজাড় করে বাষ্পাকারে
পলে পলে গড়ে তোলে অনন্ত মেঘপুঞ্জ,
নিঃশেষে ঢেলে নিজেকে করে ফাঁকা কুঞ্জ।
সময় শেষে শুষে নেই তার শরীরের রস
শুষ্ক মুখে চেয়ে থাকে আকাশে চাতকের মত
প্রহরগুনে শুধু চেয়ে চেয়ে শত শত।
ফিরেও চায় না মেঘ দেহসৌষ্ঠবের সৌন্দর্যে,
হয় না কভু তার বুদ্ধির উদয়।
তপ্ত তনু শুকিয়ে চৌচির ফাটলে ফাটলে
রাহুত্রাসে দিন কাটে বিষন্ন বাদলে।
অভিমান দানা বাঁধে যন্ত্রণার পাহাড়
বুকে জমে ধীরে ধীরে ঘন আঁধার।
অপারগ মনে অভিমানের অশ্রু ঝরে,
বারবার ফিরে ফিরে চায় তবু তারে
সব রস ঢেলে আমার নিঃস্ব হয়েছি আজ
পরিয়েছি তোমায় সুন্দর ঝলমলে সাজ।
নির্মম নিষ্ঠুর হাতে গলা টিপেছি নিজের,
সত্যিই তোমার কাছে বড় বোকা আজ আমি
তাইতো তোমায় আমার চেয়ে করেছি দামি।
অন্যায় অবিচার ঘাত-প্রতিঘাত জর্জর পাঁজর,
তবু কোনোদিনই বাঁকা চোখে পড়েনি নজর।
অভিমানী মনে অব্যক্ত ব্যথায় বৃষ্টি নামে
নিজের দোষেই কান্না কভু না থামে।
আর নয় এবার কঠিন পাথর হতে চাই,
দেখে কেমন করে সুখের সম্রাট হও ভাই?
তুমিতো ভালোবাসার অভিনয়ে বড় অভিনেতা
চাটুকারে ভোলাও যত দামি দামি ক্রেতা।
বাসি ফুল দিয়ে করো পূজা বাম হাতে
ফলটা পেতে চাও তুমি সাথে সাথে,
ফন্দি-ফিকিরে তোমার কথার মারপ্যাঁচে
অভিমানী অশ্রু ঝরে মনের আনাচে কানাচে।