মার্গে অনন্য সম্মান খুশি সরকার (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ২৬
বিষয় – বড়দিন

পতিতের পরিত্রাতা

তখনো চারদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন। গাছের পাতা থেকে টপটপ করে শিশিরবিন্দু ঝরছে বৃষ্টির মতো। ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন পাড়া। পাড়া বলতে গোটাকয়েক ত্রিপল ঢাকা একচালা ছড়ানো-ছিটানো কয়েকটা ঘর। তার মাঝেই মালতির একটা মুলিবাঁশের বেড়ার ঘর। কমলা হন্ হন্ করে এসে সোজা টোকা মারল মালতির দরজায়। এদিক ওদিক চেয়ে মনে মনে ভাবে, কিরে বাবা,মালতিদি এখনো শুয়ে আছে। ওঠে না কেন? আবার টোকা মারলো। নাঃ,বুঝতে পারছে না, নাকি? এবার গলা ছেড়ে ডাক দেয়, ও মালতিদি, মালতিদি শুনতে পাচ্ছো?
এবার ভেতর থেকে ঘুম জড়ানো গলায় কণ্ঠস্বর ভেসে আসে, কে?
— আমি গো, কমলা।
— ও-ও, দাড়াও দাড়াও, দরজা খুলছি।
— কি গো, তাড়াতাড়ি খোলো। আমার তাড়া আছে। অমনি দরজা খোলার শব্দ। মালতি ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে বেরিয়ে আসে কোনোমতে।
—শোনো,তোমাকে বড় গিন্নি ডেকেছে, তুমি নাকি কয়দিন ধরে কাজে যাও না?
— হ্যাঁ রে কমলা, বড্ড বিপদে পড়েছি।
—কেন, কি হয়েছে?
—- ও তুই তো কিছুই জানিস না। ছেলেটার খুব জ্বর ক’দিন ধরে। ওকে একা ছেড়ে কি করে কাজে যায় বল্?
— ও তাই! কপালে চোখ তুলে বিস্ময় প্রকাশ করে কমলা। তা তুমি একটি বার দেখা করে বলে এসো বুঝলে?
— হ্যাঁ যাওয়া তো উচিত। তার ওপর আজ আবার বড়দিন। প্রত্যেক বছর বাবুদের বাড়ি বড় গিন্নি কত খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে, কত ধরনের রান্না হয়। কিন্তু এবার——–
—- ঠিক আছে,মালতিদি। পারলে একবার দেখা করে এসো, নাহলে আবার ভাববে যে আমি তোমাকে কিছু বলি নি।
— না না, ঠিক বলেছিস। দেখি যদি ফাঁক করে যেতে পারি।
কথাগুলো বলেই কমলা আবার হন্ হন্ করে হেঁটে মুহূর্তেই কুয়াশায় মিশে যায়।
মালতি ঘরে ঢুকে ছেলেটাকে ছেঁড়া কাঁথাটা ভালো করে ঢেকে দিয়ে এক চিলতে বারান্দায় বসে থাকে। মনে মনে ভাবে, একবার তো যেতেই হবে, না হলে কাজটা যদি চলে যায় ছেলেটাকে নিয়ে খাবো কি? ছেলেটাকে অসুস্থ করবো কেমন করে? বাবুর বাড়ি কাজ করে যা পায় তাতে মা বেটার কোনোমতে চলে যায়। ছেলেটার জ্বরের জন্য যে কয়টা টাকা তুলে এনেছিল তা তো এই কয়দিন কোনোমতে চললো কিন্তু এখন কী করবে সে? ছেলের বয়স 9 বছর হলে কি হবে ভালো খাবার না পেয়ে তো রোগা ছিলোই তারপর আবার জ্বর হয়ে আরো শুকিয়ে কাঠ যেমন হয়েছে তেমনি দুর্বল হয়েছে। কি যে করি—– মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে থাকে মালতি। এমন সময় ঘর থেকে কোন কন্ঠস্বর শোনে, মা, ও মা।
ছেলের ডাক শুনে মালতি ধড়ফড় করে উঠে ঘরে যায়।স্নেহস্বরে বলে, কি বাবা,উঠবি?
—হ্যাঁ মা, ভালো লাগছে না। আমি বাইরে যাবো।
— ভীষণ ঠাণ্ডা বাবা, কেমন করে বাইরে যাবি?
—- তোমার কাছে বসে থাকবো মা।
—-না না, তুই শুয়ে থাক, খুব ঠান্ডা পড়েছে। আমি একটু কাজের বাড়ি যাই ,একটু পরেই চলে আসবো,হ্যাঁ?
— না, আমিও যাবো। ক্ষীণ কন্ঠে জবাব দেয় রঘু।
— এত ঠান্ডায় গেলে তো তোর জ্বর আরো বাড়বে তার চেয়ে বরং আমি চট করে ঘুরে আসি,আ তোর জন্য কিছু খাবার আনি।
— না আমি একা থাকবো না, আমিও যাবো তোমার সঙ্গে।
মালতির এবার খুব রাগ হয়। চিৎকার করে বলে, তোকে নিয়ে গেলে কাজ করতে পারবো? তাছাড়া যদি জ্বরটা আরো বাড়ে তখন কি করবো?
বিনা টাকায় অসুধ আসবে? ওষুধ না খেলে মরে যাবি তো! যত জ্বালা শুধু আমার!
— ওমা আমি চুপ করে বসে থাকব তো, তুমি কাজ করবে।
— আর কি করবো! ওঠ, চল, বেশি দেরি হয়ে গেলে গিন্নিমা আবার রাগ করবে।
মালতি রঘুর মুখ ধুয়ে দেয়, মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে রঘুর।বড় মায়া হয় মালতির। নিজের সেরা শাড়িটার ভালো দিকটা উল্টো করে পড়ে নেয়। রঘুকে কোলে নিয়ে হাঁটা দেয়। তখন পাড়ার মোড়ে কয়েকটা ছেলে ময়লা পুরনো জামা প্যান্ট পড়ে মার্বেল গুলি নিয়ে খেলছে। ওদের মাঝখান দিয়ে মালতি রঘুকে নিয়ে গিন্নি বাড়ি যায়। গিন্নিমা তো মালতিকে ছেলে সঙ্গে নিয়ে আসতে দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে,
কি রে তোর কাজ করার ইচ্ছা নেই, না?
কয়দিন হলো বল তো? কাজে আসিস না?
মালতি কাচুমাচু হয়ে বলে, আসলে গিন্নিমা ছেলেটার বড় অসুখ। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছিল এই কয়দিন, তাই——-
—– বুঝেছি, বুঝেছি, ওসব মিছা কথা, তোদের তো মিছা কথা বলার অভ্যাস কিনা—-
—- না না,গিন্নিমা, দেখো এখনো ছেলের গায়ে জ্বর।
— আমি দেখে কি করবো বল তো?
প্রত্যেকদিন আসতে পারলে কাজ কর আর না পারলে ছেড়ে দে আমি অন্য কাউকে কাজে ব্যবহার করবো।
মালতি চুপ করে সিঁড়ির কাছে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে।
—- তা আজ কাজ করবি তো? তুই তো জানিস, বড়দিনে বাড়িতে কত কিছু করতে হয়?
— করবো। মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় মালতি।
—-তাহলে ছেলেকে সঙ্গে আনলি কেন?
ছেলেকে ঘরে রেখে আসতে পারলি না?
— আজ গায়ে জ্বর নেই কিন্তু খুব দুর্বল একা কিছুতেই ঘরে থাকতে চাইছিল না, তাই—–
— ঠিক আছে, ঠিক আছে। ওকে সিঁড়ির নিচে বসিয়ে কাজ ধর। অনেক কাজ আজ।
মারুটি সুজুকি সিঁড়ির নিচে বসে কাজ করতে থাকে। রঘু একা একা বসে থাকে।গিন
গিন্নিমার দুই নাতি নাতনি। ওরা রঘুর থেকে ২/৩ বছরের বড়ো। তখন দুজনেই বাটিতে করে কেক খাচ্ছে। রঘু ওদের খাওয়ার দিকে চেয়ে থাকে অপলক। হঠাৎ নাতনি রঘুকে বলে, কেক খাবি? ঠিক সেই সময়ই ওর মা রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসছিল। খাওয়ার কথা শুনে মেয়েকে ধমক দিয়ে বলে,রিনি ঘরে বসে খাও, যাও, বাইরে ঠান্ডা।
— মেয়েটা অমনি মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলে, মা, ওকে একটু দেবো?
— না, তোমাকে দিতে হবে না। তুমি ঘরে যাও। আমি ওকে দিচ্ছি। বলেই ঘর থেকে একটু কেক রঘুকে দেয়। রঘু বসে বসে খেতে থাকে। ওদিকে মালতি ঘর ঝারা পোছা করে, বাসন মাজে। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে কাজ সেরে গিন্নিমাকে বলে,গিন্নিমা আজ আর বিকেলে আসবো না, ছেলেটাকে নিয়ে একটু বড়দিনের মেলায় যাবো। কাল আবার খুব সকালে আসবো।
— অমনি গিন্নিমা ফোঁস করে উঠে বলে, কেন এইতো কয়দিন বাদ দিলি, আবার বাদ?
— আসলে ছেলেটার শরীরটা ভালো নয়, তাই ওকে নিয়ে একটু ওই মিশনের গির্জায় যাবো। শুনেছি গির্জায় মোমবাতি জ্বালালে নাকি প্রভু যীশু মনের ইচ্ছা পূরণ করেন।
— ঠিক আছে। আজ বড়দিন বলে কিছু বললাম না, তবে তারপর বাদ দিলে কিন্তু আর ছাড় দেওয়া যাবে না। না এলে বেতন কাটা যাবে, মানতে পারবি তো?
— নানা গিন্নিমা, আর হবে না। এবার থেকে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই কাজে আসবো। বলতে বলতেই মালতি ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাড়ি এসে হাঁপাতে থাকে মালতি। তার মধ্যেই রঘু বলে,মা খিদে পেয়েছে। ছেলের কথা শুনে মালতির রাগ মাথায় চড়ে যায়। রক্তচক্ষু করে ছেলেকে বলে, বসে বসে শুধু খাই খাই,না? কোথায় পাব অত খাওয়া?বাপটা তো মরে বাঁচলো। আর আমি? বেঁচেও তো মরে আছি। গরিবের অসুখ হতে নেই জানিস না? বাঁচতে গেলে টাকা চায়,বুঝলি?আর টাকা না থাকলে কেউ মানুষ ভাবে না। কথাগুলি বলতে বলতে মালতির চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। কপাল চাপড়ে বলে, হায়রে পোড়া কপাল! জীবনে একটা দিনও সুখ পেলাম না। একটু পরেই শান্তভাবে ভাবে, ভালোই হয়েছে, মরে গেছে বেঁচে গেছে। না হলে আজও ওই জুয়া খেলে সব ধ্বংস করত, তিতিবিরক্ত ভ্রুকুচকে মনে করে সেদিনগুলো,একদিন কাজ করবে, তো তিনদিন বসে থাকবে। কুঁড়ের বাদশা ছিল। আর কাজ করে টাকা পেলেই মদ গিলে বাড়ি এসে অত্যাচার করবে। নিজের পাপেই মরেছে।আর আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছে এটাকে। রঘুর দিকে তাকাতেই হঠাৎ নজরে পড়ে, রঘুর চোখে জল। তৎক্ষণাৎ মনটা কেমন যেন করে উঠলো। সঙ্গে সঙ্গে আদর করে চোখ মুছিয়ে বলে, কি করবো রে, বাবা, বড় রাগ হয় যে। আচ্ছা, খিদে পেয়েছে? একটু দাঁড়া বাবা, চালে ডালে আমরা খিচুড়ি খেয়ে বড়দিনের মেলায় যাবো। যাবি তো?
— তুমি তো বকলে আমায়, আমার খিদে পেয়েছে তাই তো বললাম।
ছেলের কথা শুনেই মালতির মনটা একটু নরম হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাটির উনুনে সামান্য চাল ডালের খিচুড়ি রান্না করে।মা-বেটা খেয়ে-দেয়ে বিকেলে যায় মিশনের গির্জায়। পাশের গ্রামেই সেই গির্জা। প্রতিবছর খুব ভীড় হয় এই বড়দিনে। প্রচুর লোক আসে আশেপাশের গ্রাম শহর থেকে। অনেকেই খাবার-দাবার তৈরি করে সঙ্গে নিয়ে আসে খায় এখানে। অনেক মনিহারি দোকান, খাবারের দোকান বসে। সুন্দর করে সাজানো হয় গীর্জা। আলোয় ঝলমল করে সেদিন। গতবছর রঘুর বাবার অসুখ ছিল, তাই আসতে পারে নি। আজ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মালতি একটু তাড়াতাড়ি গেল গির্জায়। অথচ অত আগে গিয়েও দেখে থিক থিক করছে মানুষ। কেউ ঘুরছে, কেউ খাচ্ছে, কেউ জিনিস কিনছে, কেউ আবার যীশুর মূর্তির কাছে হাতজোড় করে প্রার্থনা করছে এবং একটু দূরে একটি লোহার পাত্রে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিচ্ছে কেউ কেউ। হঠাৎ মালতির চোখে পড়ে কয়েকটি পরিচিত মুখ। অমনি মালতি ওদের কাছে গিয়ে রুহ কি দেখে মোমবাতি কিনতে যায়। কিন্তু মোমবাতির দোকানে ভিড় থাকায় তার একটু দেরি হয়। তারপর ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে একেবারে মোমবাতি জ্বালিয়ে আসে মালতি। পরে রঘুকে প্রভু যীশুর মূর্তি দেখানোর জন্য নিতে গিয়ে দেখে রঘু সেখানে নেই। আঁতকে উঠে মালতি। আশঙ্কায় জিজ্ঞেস করে বউগুলোকে, কোথায় ছেলেটা?
— এখানেই তো ছিল।
— আমি তোমাদের কাছে রেখে গেলাম। তোমরা একটু দেখবে না ওকে ? ছেলেটাটা তো আমার জ্বরে এমনিতেই কাহিল,ও তো একা কোথাও যেতে পারবে না, তাহলে——
কেমন যেন হয়ে পাহাড় জমে ওঠে মালতির মনে। নানান কুচিন্তা মাথার মধ্যে ভিড় করে। মুহূর্তে ভাবি যদি কেউ ছেলেটাকে ধরে নিয়ে যায়! তার বুক চাপড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে, ভাবে, কেন যে এখানে রেখে গেল? হঠাৎ একটু দূর থেকে ভেসে আসে প্রচণ্ড চিৎকার। কারা যেন মারপিট করছে, বুকটা ধড়াস করে ওঠে মালতির। রঘুকে কি মারছে ওরা! ও কি কারো কিছু চুরি করেছে? সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে রাস্তায় তো বলছিল, কেক খাবো। তাহলে কি কেক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে! মনের মধ্যে নানান ভাবনা ভাবতে ভাবতেই চারদিকে খুঁজতে থাকে মালতি পাগলের মতো। খুঁজতে খুঁজতে শুনতে পায়,কে যেন কাকে ডেকে বলছে, ছেলেটাকে কি মেরে ফেললো ওরা? আর পা ওঠে না মালতির, যেন রক্ত হিম হয়ে আসে। ডুকরে কেঁদে ওঠে সে। গন্ডগোলের ভিতরে উঁকি দেয় সে। দেখে একটা ছেলে চিৎ হয়ে পড়ে আছে, নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে অনর্গল। মুখটা ঠাহর করতে না পেরে আরও কাছে যাবার চেষ্টা করে মালতি। রঘুর মতোই মনে হচ্ছে তো, অমনি রঘু বলে চিৎকার করে ঝাঁপিয়ে পড়ে মালতি ছেলেটির উপর। মুখটা তুলে কোলে নিতেই তাকিয়ে দেখে, নাঃ, এত তার রঘু নয়, অন্য ছেলে। হঠাৎ মনে হয় এই হয়তো রঘুকে ধরে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছে আর লোকজন দেখে ওকে ধরে ফেলে। তাই মার খেয়েছে প্রচন্ড। আর ভাবতে পারছে না মালতি, কথা হারিয়ে যাচ্ছে, তার মাথা টলমল করছে। এমন সময় অনুভব করে,কে যেন তার আঁচল ধরে টানছে। ধীরে মুখটা দেখা যাচ্ছে না। বুদ্ধি করে সে ছেলেটির হাতটি ধরে টান দেয় নিজের দিকে। দেখে রঘু। অমনি দুই হাতে জাপ্টে ধরে চুমু খেতে থাকে কপালে গালে । আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটে যায় ছেলেকে নিয়ে প্রভু যীশুর মূর্তির সামনে, করজোড়ে কাতর স্বরে বলে, হে প্রভু, তুমি সত্যিই পতিতের পরিত্রাতা। আমার মত হতভাগিনী মায়ের আর কি আছে বলো? এই তো আমার বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল। প্রভুর দয়ায় জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য প্রণাম করতে বলার জন্য হাত ধরতেই দেখে, রঘুর হাতে কেক। বিস্ময় বিমূঢ় মালতি ভাবে,ও কেক কোথায় পেল! সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করে তোকে কেক কে দিলো বাবা?
রঘু ভীড়ের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলে, ওইদিকে একটা দাদু মালতি আর কোন প্রশ্ন না করে শুধু মনে মনে গভীর বিশ্বাসে ভাবে, কে বলে তুমি নেই, তুমি আছো। তুমিই কখনো রাম, কখনো কৃষ্ণ, কখনো হজরত আবার কখনো মানবের মুক্তিদাতা যীশু। তুমিই পতিতের পরিত্রাতা হে প্রভু। চারদিকে তখন আনন্দমুখর জনকোলাহল। আর গির্জার ভিতরে জ্বলন্ত মোমবাতির আলোয় যেন এক অলৌকিক মায়ার জগৎ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।