“এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব”, মনে পড়ে আরতি মুখার্জীর গাওয়া “হীরে মানিক” নামক বাংলা ছবিতে? নিশ্চই মনে আছে। জীবন আমাদের গন্তব্যে ঠিকই পৌঁছে দেয়। তবু আমরা আমাদের এই জীবনের প্রধান অন্তরায়ে হয়ে দাঁড়া ই। জীবনের কিছু মূল্যবোধকে বিসর্জন দি।অনেক সত্য উপলব্ধি করতে অস্বীকার করি। বহু কিছু উপেক্ষা করি, শুধুমাত্র নিজেদেরকে এক মিথ্যের আবরণে আবৃত রাখতে।
অহংকার করি, অপমান করি, অপরকে দুর্বল ভাবি-যা আমাদের সব থেকে বড় ভুল ও গ্লানির কারণ। বুঝি না, পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে অধিক সময় লাগে না। মানুষ যতই মহান হোক না কেন, প্রকৃতি তাকে সেই ক্ষেত্রে এত সহজে বিচরণ করতে দেবে না। কোকিলকে কণ্ঠ দিয়েছে, রূপ নয়, আবার ময়ূরকে রূপ দিয়েছে, কন্ঠ নয়, মানুষকে ইচ্ছে দিয়েছে, সন্তোষ নয়, সাধুকে সন্তোষ দিয়েছে, সংসার নয়। এক সাধারণ মানুষ যাকে ঈশ্বর মাটি দিয়ে নির্মাণ করেন, আবার মাটিতেই মিশিয়ে দেন!
আমাদের সব থেকে বড় প্রত্যাশা যথাক্রমে খ্যাতি, সুবস্ত্র ও সুগৃহ। তবে ওপরের ডাক আসলে, এই বর্তমান খ্যাতি স্বর্গীয়তে, বস্ত্র সাদা থান বা কফিন ও ঠিকানা শবালয়ে রূপান্তরিত হয়। জীবনের সমাপ্তি এখানে। নেই কোনো সজ্জন, পরিজন, আছে শুধুমাত্র এই নগ্নকায়া! পাথর মন্দিরে একবার পৌঁছলে, এক দেবত্বে উত্তীর্ণ হয় আর মানুষ রোজ মন্দিরে গেলেও, পাথরি থেকে যায়। কি অদ্ভুত!!
তাই সর্বাধিক আগে প্রয়োজন জীবনের উদ্দেশ্য কে স্থির করা। জীবন জীবনের সাথেই মিলে মিশে এক হয়ে যাবে একদিন, পরে থাকবে এই নশ্বর দেহ যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া বা পাওয়া, এক চিরন্তন শান্তি বিরাজ করবে!!