T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় জয়ন্ত দত্ত

১| অভিযাত্রী

গ্রামের কাঁচাপাকা পথ পেরিয়ে
হাইওয়ে ধরে গাড়ি ছুটে চলেছে
চারপাশে নির্জন,হেমন্তের মধ্যরাত
উইন্ডশিল্ডে আছড়ে পড়া বাতাস কেটে
টুকরো টুকরো হয় শো শো আর্তনাদে
ছড়িয়ে পড়ছে দুপাশে
কিছুক্ষন থেমে থেমে
এম্বুলেন্সের সাইরেন বেজে ওঠে
এসব আর্তনাদকে
তোমার কান্নার মত মনে হয়
যেন আমি চলে যাবার পর তখনো
তুমি লুকিয়ে বসে কাঁদছো
এ যাত্রা অন্তহীন…

২| ইলিউশন

বড় রাস্তার কাছে রোজ সকালে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকি।আর প্রায়শই কিছু না কিছু ঘটেই যায়।এই যেমন রাস্তায় সকাল সকাল তাড়া খাওয়া একটি লোক চোখের সামনে দিয়ে ছুটে চলেছে।বোধহয় কিছু চুরি করেছে।মারমূখী জনতার কয়েক ঘা খেয়ে সে দৌড়ুতে আরম্ভ করে।কপাল ফেটে রক্ত ঝরছে।লোকটি দ্রুত মিলিয়ে যায় সামনে থেকে। তবু আমি দেখতে পাচ্ছি তাকে!আসলে আমিও যে দৌড়াচ্ছি লোকটির সাথে বাঁচার জন্য।বুকের ভেতরটা ধুকপুক করছে।দৌড়তে দৌড়তে আমরা রাস্তার পাশে দরজা খোলা একটি ঘরে ঢুকে পড়ি।ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে নিশ্চিন্ত হই।ওদিকে রাস্তার মারমূখী জনতা ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দরজায়—‘ঐ যে শালা ,শয়তান টাকে ধরা গেছে–মার শালাকে…।’ রাগে ঘৃণায় খুশিতে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে দরজার ওপারে।আর আমি লোকটির সাথে সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরেছি।দরজার ছিটকিনি ভেঙে যাবে হয়ত।তবু সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রাণপনে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছি…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।