দিব্যি কাব্যিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

কিছু আধ্যাত্মিক – ১৭ 

তথাপি মমতাবর্তে মোহগর্তে নিপাতিতাঃ।
মহামায়া-প্রভাবেণ সংসারস্থিতিকারিণা।।
— শ্রীশ্রীচণ্ডী

বিশ্বজোড়া আজব খেলা খেলছে কেমন বৃহৎ শিশু যুগের পরে যুগ
আকাশ মাঠে নদীর তীরে নেয় জড়িয়ে ঘুড়ি- লাটাই কেমন হুজুগ।
পুতুলগুলো খানিক খানিক বুদ্ধি পেয়ে বেশ ভেবেছে মজার খেলা
যন্ত্রগুলো বশ মেনেছে চিন্তা কী আর সব বুঝেছে চালাক মেলা।
সেই চালিকা লুকিয়ে হাসে দেয় ঘুরিয়ে দমের চাবি সেই তো জানে
গর্ত পাতা পথের পাশে ঘূর্ণি জলে হাবুডুবু স্বপ্নগুলো কেমন টানে।
জলভ্রমি দেয় খুব ঘুরিয়ে আমি এবং আমার মোহ অজ্ঞানতা প্রবল বেগে
কোন অতলে বিলীন করে নিঃস্ব জনায় পাক লাগিয়ে কেবল জেগে
মজার লীলা মোহময়ীর কতই ছলে পথ ভুলিয়ে বিপথ খুলে দেয় হাতছানি
সেই পথে যেই ক্রীড়নকের মত্ত গমন অমনি তাকে পাক লাগিয়ে খুব চোবানি!
একটুখানি শক্তি পেয়ে উল্টো দিকে সবাই দেখে আকর্ষণের ভ্রান্ত ছবি
কে যে ধরায় ভুলের বিপদ কে যে বলে এসব নাটক নকল সবই!
অন্ধকারে কেমন লড়ে ষাঁড় ও মানুষ,সিংহ,শেয়াল সাপের দলে
ভোর কি আসে? কেমন সে ভোর অন্ধকারে সূর্য ঢাকা কার আঁচলে!
দর্প নিয়ে কবন্ধেরা বেদম দাপায় আকাশ এবং জলের মাঝে
মোহের কাপড় জড়িয়ে তুমি নাটক দেখো আড়াল থেকে ব্যস্ত কাজে।
তোমার খেলা বুঝবে কে আর অবোধ মানুষ সাধ্য তো নেই
তুমিই পারো সরিয়ে নিতে মোহের কাজল পথ চেনাতে অনুভবেই। এ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।