কবিতায় পদ্মা-যমুনা -তে ইব্রাহিম সিকদার

নিপীড়িত আত্মা

আগুনের ফুলকি ধেয়ে আসছে নির্জনতা ভাঙ্গতে
জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গাঢ় অন্ধকারে বিলিয়ে যাবো
এই নিপীড়িত আত্মা চিৎকার করবেনা
নীল গগনে নিশ্চল ভিখারি হয়ে।
খুব দেখেছি, খুব করে চেয়েছি শুধু কি অন্ন আবাস !
ধরণী’র বুকে শান্তি সে’তো কতোশতো আরাধনা আর
প্রণাম পূজা এবেলা সেবেলা দৌড়ঝাঁপ কালো চুল ভিতর বিভ্রান্তিতে নুয়ে পড়ে হয়েছে সাদা !
অমঙ্গলের ছায়া কাটেনি বিষাক্ত ফণা তোলা সাপের মতো তেড়ে এসেছে ছিন্নভিন্ন হয়েছি তোপের মুখে !
বহুবার কাঁটাতারের বেড়া পাড় হয়ে এসেছি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, দেহ মন ক্ষত বিক্ষত হয়েছে, যখন এপারে এসে দাঁড়িয়েছি ব্যথিত এই আমি বিজয়ী রশ্মি গায়ে মাখবো বলে তখনি আবার নিয়তির একটা বিদঘুটে রক্তচোষা এক চুমুকে অন্ত্য রক্তটুকু খেয়ে গেছে।
রক্তশূন্য আমি পড়ে রয়েছি সাদামাটা
নিজেকে লুকিয়ে এককোণে।
কোন এক সকালে কুহকী ডাকে জেগে উঠার চেষ্টায় রয়েছি মত্ত, বিষাদ যুদ্ধ আর লড়াইয়ের অভ্যন্তরে
একটু একটু করে গড়া সঞ্চিত শক্তি কখন যেন অজ্ঞাত শঙ্কার কাছে হাড় মেনেছে আমি টের পাইনি !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।