ইচ্ছে ছিলো পূর্ণিমা রাতে পূর্ণ চাঁদের আলো গায়ে মেখে হাঁটবো দু’জন গ্রামের মেঠো পথে।
ইচ্ছে ছিলো পদ্মা পাড়ে চকচকে বালুর বিছানায় বসে ঢেউয়ের শব্দ শুনবো হাতে হাত রেখে।
ইচ্ছে ছিলো ভর দুপুরে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজবো দু’জন গভীর প্রণয়ে।
ইচ্ছে ছিলো প্রচণ্ড ক্ষুধায় একমুঠো ভাত ভাগ করে খাবো তৃপ্তি নিয়ে।
ইচ্ছে ছিলো তোর লজ্জাবতী চোখের পাপড়ি ছোঁব আনকোরা হয়ে।
ইচ্ছে ছিলো ভোরের শিশিরবিন্দু ছোঁয়াবো তোর তুলতুলে গালে।
ইচ্ছে ছিলো ছোট্ট একটা ঘরে তোর পায়ের শব্দ শুনবো বিমুগ্ধ হয়ে।
ইচ্ছে ছিলো মাঝ রাতে তোর চঞ্চলা নাচের তালে ঘুম ভাঙাবো।
ইচ্ছে ছিলো দেখবো মেহেদী রাঙা হাত ঘোমটার ফাঁকে এক ফালি চাঁদ।
ইচ্ছে গুলোর বয়স হয়েছে কুঁজো হয়ে তবুও মনের অলিগলিতে হাঁটে !
২| আমি হারিয়ে যাই
দুই পাড়ের নৈকট্যে অলিক চাওয়ায় দেহযষ্টির প্রবল টানটান উত্তেজনার মাঝে হারিয়ে যাই অমত্ত মৃত্যু শহরে যেখানে যুদ্ধ শেষ না করার অপরাধে শহরকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে অথাবা হারিয়ে যাই নদীর ধারে
দাঁড় টানা ক্লান্ত মানুষটার কাছে
যার চাহনিতে গন্তব্যের আকুতি !
কখনো আবার হারিয়ে যায় তৃতীয় পক্ষ
টকটকা লাল গোলাপের রুপ মাধুর্যে।
সাঁঝবেলা টকটকা গোলাপের সমস্ত শরীরে
যখন চাঁদের আলো একটু একটু করে পড়তে থাকে আমি তখন ফেলফেল করে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি।
আমার তখন রাজ্যের সব দেনা পাওনা মনে থাকে না,
পাপ-পুণ্য মুছে যায় গোলাপ পাপড়ির মিষ্টি হাসি আর পাপড়ি মাঝে মিলনের অজস্র আক্ষেপি নি:শ্বাসে !
আমি হারিয়ে যাই আরো গভীরে সুরমার বুকে
যেখানে ভরা থইথই জল কল্পরাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে আনন্দে খলবল করে ওঠে মন আর অশান্ত পিপাসু শরীর !
ভয়াল তীক্ষ্ণ এই পৃথীবির মাঝে
কিছু সময় বয়ে চলে আনন্দধারা আমি ভিজি সে ধারায় নিত্য দিনের তিক্ত কোলাহল ফাঁকি দিয়ে !