সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে গৌর হরি মান্না (ভ্রমণ কাহিনী পর্ব ২)

জ্যোৎস্নায় মাখামাখি জামুয়ানি

পড়ন্ত বেলায় গোধূলির সূর্য তার রঙের ছটায় আকাশ কে রাঙিয়ে তুলছে। আর আমরা যোশীপুর কে পেছনে ফেলে ঢুকে পড়েছি অরণ্যের গভীরে।পথের দুই ধারে শাল সেগুনের মাঝে মাঝে কুসুম গাছের পাতার বাহার দেখতে দেখতে আর সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে এসে পৌঁছালাম জামুয়ানির অন্দরে। দিনের শেষের নরম আলোয় রক্তিম সূর্য আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের অন্তরালে।আর ঠিক সেই মুহূর্তে মাথায় শুকনো কাঠের বোঝা নিয়ে অরণ্যের ভেতর থেকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে আদিবাসী রমণী। চারিদিকে পাখির কুজনে মুখরিত হয়ে উঠছে জামুয়ানি গ্রাম।অন্যথা বিলম্ব না করে গামছা কাঁধে গাঁয়ের পাশেই এক জলাশয়ের মধ্যে মহা আনন্দে স্নান করে ফিরে এলাম গোবিন্দ জির বাড়ি। অতিথি বলে কথা তাই আতিথেয়তা যাতে কোন রকম ত্রুটি না থাকে তার দিকে সব সময় দৃষ্টি রেখে চলেছে এই জামুয়ানি গাঁয়ের যুবক আমার অভিন্ন হৃদয় বন্ধু গোবিন্দ কালুনডিয়া। এবার আশা যাক আমার বন্ধু গোবিন্দ কালুনডিয়ার কথায়। সিমলিপাল অরণ্যেই ঘুরতে ঘুরতে কোন এক সময় এই গোবিন্দজি সঙ্গে আমার পরিচয়।শান্ত স্বভাবের এই আদিবাসী যুবক কে প্রথম দেখাতেই আমি অবাক হয়ে গেছিলাম। এই গভীর অরণ্যের মাঝে এক আদিবাসী গাঁয়ের যুবক গোবিন্দ হিন্দি,বাংলা, ওড়িয়া,ইংরাজি ও তার আদিবাসী ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে।আরো অবাক লাগে এই আদিবাসী যুবকের ভদ্রতা বোধ দেখে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।