• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে গৌর হরি মান্না (ভ্রমণ কাহিনী)

মায়াবী মানস

মানস জাতীয় উদ্যানের অন্দরে থাকার সব থেকে ভালাে যায়গা হলাে। জঙ্গলের গভীরে অবস্থিত মানস নদীর গায়ে আপার মাথানগুড়ি বনবাংলাে৷এছাড়া নিচে নদীর ধারে লােয়ার মাথানগুড়ি বনবাংলাে।লােয়ার মাথানগুড়ি বনবাংলাের বারান্দায় বসে জ্যোৎস্না মাখা রাত কাটানাে জীবনের এক দুর্লভ স্মৃতি হয়ে থাকবে।পূর্ণিমা রাত জ্যোৎস্নায় মাখামাখি অরণ্য, তির তির করে বয়ে চলা মানস নদী ঠিক যেন মুক্তোর মালার মতাে গড়িয়ে চলেছে। নাম না জানা শ্বাপদের তীক্ষ্ম এই অরণ্য কে যেন মায়াবী করে তুলছে। মানস জাতীয় উদ্যান মূলত তিনটি রেঞ্জে বিস্তৃত। পূর্ব রেঞ্জে ভূইয়াপাড়া, মধ্য রেঞ্জে বাঁশবাড়ী ও পশ্চিম রেঞ্জে পানবাড়ি। মূলত মধ্যম রেঞ্জে বাঁশবাড়ী থেকেই প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে
সাফারি করানাে হয়। হাতি সাফারি মাথা পিছু হাজার টাকা ও গাড়ি সাফারি ছয় | জন আড়াই হাজার টাকা। এছাড়া সাফারির অতিথি সঙ্গী হিসেবে নিতে হবে।
একজন গাইড, একজন বন্দুকধারী প্রহরী। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে পথের মাঝেই মুখােমুখি হতে পারেন হাতির পাল বাঘ অথবা গভরি বা গাউরের দলের।মানসের অরণ্যে একজনকেও খুঁজে পাওয়া কঠিন যে সাফারি চলাকালীন পথের মাঝে কোন জন্তুজানােয়ারের মুখােমুখি হয়নি।এছাড়া সাফারির পথে আপনি নিশ্চিত ভাবে দেখা পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হরিণ, সম্বর, বুনাে শুয়াের,খরগােশ। মাত্র কয়েক বছর আগে আধুনিক সাঁজে নির্মিত লােয়ার মাথানগুড়ি বনবাংলােয় তিন দিন রাত যাপন করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আধুনিক সমাজ জীবনের নিত্য সঙ্গীরা কিন্তু এখানে একেবারেই ব্রাত্য। একমাত্র অরণ্য যারা ভালােবাসে,যারা অরণ্যর সাথে মিশে যেতে পারে কেবল মাত্র তাদের কেই দুহাত তুলে আহ্বান করছে মায়াবী মানস।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।