লেখালেখি সেই ১৯৮৯ সালে কলেজ পত্রিকা থেকে। দেশ, বিদেশের বহু নামী ও সমৃদ্ধ পত্র - পত্রিকায় বহু কবিতা প্রকাশিত। দুটি কাব্য -সংকলন কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত।। "ঊনবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবিতা" ও "একশো কবিতার প্রেম" কাব্যগ্রন্থে বহু নামী ও বিখ্যাত কবিদের সাথে ওনার লেখাও ঠাঁই পেয়েছে।। পরবর্তীতে আত্মমগ্ন কবি অর্বাচীন, দিনাজপুর ডেইলি', দেশ, শিকড়, নাটোরকণ্ঠ, লেখালেখি সব বাংলায় , কৃত্তিবাসী, শহর, ইচ্ছেনদী, সৃজনী, শব্দদ্বীপ, স্বরধনি ছাড়াও আরো বহু পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন নিরন্তর ।।
রঙ
জানালা খোলাই ছিল যদিও,
ভারী পর্দার পুরু আস্তরণে
চুমু খেয়ে যতটুকু দেখা যায়
পাশের ছাদের আলনা।
টাঙ্গানো ওড়নার নিচে রকমারি ব্রা,
সালোয়ার সুট,ভেজা চুল, রামধনু রোদ।
দিন বদলাতো, রকমারি জামাকাপড় এবং রঙও,
হঠাৎই একদিন আলনার বদলে
ছাদ ঢেকে গেল সামিয়ানায়…,
রঙ আমারও বদলেছিল দীর্ঘশ্বাসের।
তারপরও কিছুদিন জানালাটা খোলাই ছিল
শুধু আলনাটা ছিল না….
আরো পরে কিছুদিন মাঝে মাঝে
কার্নিশের ভাঁজে ভাঁজে
ইট চাপা ঝুলে থাকা শাড়ি,
ফ্যাকাশে রক্তের ভৌগোলিক শায়া,
রঙ শুকিয়ে মড়মড়ে দূর থেকে ‘বোধ’ হয়।
চাপা ইটের দাগ শাড়ি,সায়া, ব্লাউজে।
জানালাটা তারপর আর খুলিনি,
সেদিন হঠাৎই আমার ভরদুপুরে দমকা ঝড়ে
জানালাটা দু’ফাঁক হয়ে খুলে যেতেই দেখি
সাদা থান শাড়ীর সরু পাড় আটকে আছে
আমার জানালার ফ্রেমে…,
আর ইট পড়ে আছে নীচে।
সেই থেকে আর কোনদিন রঙ বদলায়নি ছাদের,
আলনাটা আবার ফিরেছে আর
আমার জানলার পর্দায় শুধু সবুজ,
সবুজ আর সবুজ রঙ…