কবিতায় স্বর্ণযুগে গোবিন্দ ব্যানার্জী (গুচ্ছ)
by
·
Published
· Updated
চৈতন্যে আরক্ত তীর
এক
আমাদের ফেলে দেয়া দিনগুলো
এখন শুধু সুখের ফসিল
আর যন্ত্রণার আতর।
দুই
চৈতন্যের কানাচে ঘোরে ফেরে
এক উদাসী বাউল
কেবলই গান গায় অচেনা সুরে।
তিন
গভীর প্রত্যয় নিয়ে
নোয়াই-এর ধারেই
যাওয়া যায় শুধু বারবার।
চার
বাতাসের শ্মশানে ভাসে
অসংখ্য কঙ্কাল
আর প্রপিতামহ কন্ঠে আদিম সামগান।
পাঁচ
জীবন আর কতটুকু বলো
সময়ের ভান্ডারে অফুরান নয় কিছুই,
আমরাই হৃদয়ে উদার।
ছয়
কবিতা আছে তাই বেঁচে থাকা আছে
আর সবই যন্ত্রণা
বিচ্ছিন্নতা এবং কান্না।
সাত
শব্দ শুধু হৃদয়ের সংগা নয়তো
আদি পৃথিবীর
অনন্ত আকাঙ্খা ভরা সে।
আট
চলমান বাগানের স্রোতে
আবার ফুল ফোটে নতুন
মিথ্যা হয়ে যায় সমাপ্তি তেহাই।
নয়
তোমার পবিত্রতম ওষ্ঠ স্পর্শ ক’রে
নির্ভয়ে নির্ভরযোগ্য পৃথিবীকে
হাত নেড়ে চলে যাবো।
দশ
নির্মম নিয়য়বদ্ধতা
মাটিতে মুখ গুঁজে
তবু ঘনিষ্ঠতা খুঁজে ফিরি।
এগার
আবর্ত থেকে চৈতন্য
চৈতন্য থেকে অভিঘাত
এ সব পার হয়ে, তারপর?
বার
শিশু থেকে চিতা পর্যন্ত
কেই বা সোজাসুজি হেঁটে যেতে পারে
পুরোনো পাতা শুধু বেহিসেবী ইশারা শোনায়,
কথাগুলো মজে গেছে গলার উজানে।