T3 || আমার উমা || বিশেষ সংখ্যায় গৌতম বাড়ই

ডার্ক চকলেট

কবিতা- ১

নারী

মাছ তলিয়ে যাচ্ছে
বন্দরও
উদাসী নারীর স্তনবৃন্তে সময়ের গলিঘুঁজি
মেঘের জানালা ভেঙে রোদের আর্তি
ক্ষয়াটে পুরুষের উত্তুঙ্গ আস্ফালন
একজন যা অতিমানবিক পারে সে প্রকৃত নারী
যে পৃথিবীর আঁধারে সমস্ত উদযাপন
শক্তির উৎসের আরও গভীরে হাঁটা
ক্ষয় হতে হতে যে সন্তান- সন্ততিদের
দুমুঠো খুদকুঁড়ে আর একচামচ
আলো দিয়ে যায়
সমস্ত বিপর্যস্ত সময় পৌরাণিক বর্ণনায়

 

কবিতা- ২
ডার্ক চকলেট

যখন যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে এক ছায়ার অন্বেষণে আমি নশ্বর! যেমন আমার প্রতিটি সম্ভাবনার ওপর নিজস্ব কোনো হাত নেই। চুম্বনের গভীররাত্রি নীলকৌটোয় বন্দী বিষবৎ এক ভালোবাসা। ভাসমান সমস্ত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা চাঁদের উবটান স্পা মহামূল্যবান কলঙ্ক লেপন তাতে। অন্ধকারের মহাজাগতিক মহাফেজখানায় আমার ডার্ক চকলেট মোড়ক কবিতাজঞ্জাল। পাখির গলায় রক্ত উঠে আসে আমরা বলি গান। মিষ্টতা খুঁজি অথচ তা বাঁচবার আকুতি আস্ফালন। প্রতিটি ধর্ষক কে আমজনতা হাজারবার পা দিয়ে পিষে পিষে মেরে ফেলেছে। অন্ধকারকে মেলেছি অন্ধকারে। চুম্বকের আকর্ষণ বিন্দু দূর্বল হলে পতনের ভারী শব্দ প্রতিটি বর্গইঞ্চিতে অনুভব হবে। এখন চোষণপর্ব।মুষলপর্বের শুভ মহরৎ তবে!

কবিতা- ৩

নাগরিক জনপদ/রোজভোজ
গৌতম বাড়ই

সকালের শুরু হয়
মাইক্রোওভেনের প্রাণস্পন্দন ঘূর্ণির
তৎক্ষণাৎ আর্ত চিৎকার প্রেসার কুকার
ইউটিউব যতটা রান্নাখাই
সকালের যুদ্ধের যোগানে ছিটেফোঁটা

বহুতল থেকে সুড়সুড় নেমে আসছে অবনমন
নিরুদ্দেশ সরুগলিটির নোটবুকে
অন্ধকার বলতে ভুলের পাঠশালায়
আলোআঁধারি একদম ঠিকঠাক
হৃদয় ভেজালে যতটুকু প্রেম গলিত হয়
তারচেয়ে এ পাড়ার বাড়িগুলি নিষ্ঠুর প্রকৃতির
একটাও প্রগলভ মেয়ে এইদশকে জন্মায়নি
পাড়াকে মুখরিত করে রাখবে বলে–

সমস্ত জনপদ রোজভোজ খায় আর
মিয়া-বিবি- কচি ত্রস্তপদে বেরিয়ে যায়
কোথায়??

কবিতা-৪

মানুষেরা ডানা পায়
গৌতম বাড়ই

গাছের পাশে গাছ বন্ধুত্বের সামাজিকপাড়া
বনবাদাড়ে পাখির কাকলী
জন্তু-জানোয়ারদের নিদ্রাচ্ছন্ন চোখ
সবুজঘাসে হারানো শিশির
বাউলমনা কাঁদে কৃষকের হারানো দেশে
নপাড়ার হারানো চাপরাশির কঙ্কালসারদেহ
সূর্য নিয়ে আসে প্রতিটি সকাল

অনর্গল!

অনর্গল!

সূর্য অদৃশ্য হতেই অন্ধকার গিলে খায়
মানুষেরা ডানাপায় রোজ রোজ
উড়ে যায় কালো রাত্তিরে
রামঘাটে কাঠে- কাঠ চন্দন ঘি লেপে
আগুনেরা জ্বলে ওঠে
ছাই হয় স্বপ্নবেলা
তরাইয়ের নিচু ঢালে
মহানন্দা তিরতির বয়ে চলে গাঙ্গেয় বুকে

কবিতা-৫

ঘুমের বাছা দুধের ছানা

আমায় ধানসমুদ্র শিস দিয়ে ডাকছে অনেক
নিপাতনে বিসর্গ সন্ধি নিপাত যাক
দিচ্ছে ডাক খেজুরবনে জুঁইপাতা
অতটা আর স্পষ্ট করে মনেও নেই
ভালোবাসতে গিয়ে কোন দিকটা প্রথম হারাই
চাউমিনটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাঁটা চামচে
হাফ- বয়েলটা গোগ্রাসে
আমাদের এই বাংলাপাড়া ঘুমিয়ে পড়ে দিনত্রাসে
পানিকৌড়ি মেলছে ডানা আপন জলপ্রদেশে
ধানসমুদ্র দিচ্ছে শিস
ঘুমিয়ে পড়ো ঘুমের বাছা এই মন্তাজে
ঘুমিয়ে পড়ো দুধের ছানা আকাশ নিচে
মুঠোয় ধরা মুখের ভেতর ডার্ক চকলেটে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।