মৃত্যু কি?
আমার প্রিয় সখি
জীবন?
ব্যর্থতার আরেক নাম
যেখানে শরীর ঋণী হয়ে জন্মেছে সংসারে
সংসার?
অজেয় সমুদ্র
পুজো থেকে উঠে এসো দেখো ক্ষমা জন্মাচ্ছে ভিতরে ভিতরে
আর রয়ে যাওয়া শাল পাতায় যেটুকু ভাত পড়ে আছে
চেটে খাচ্ছে কুকুর, তারপরে সে হবে বোধিবৃক্ষের পাতা
পাতায় লেখা আছে নাম, রাহুল
আগুনে স্নান করে দাঁড়িয়েছে খোলা আকাশের নিচে
মেলে দিতে চাইছে যা কিছু চরম
কারণ কতদিন আর ভিতরে ভিতরে গুমরে মরবে আত্মরতি
আত্মরতি?
দরজার ইশারা বরাবর হাওয়ায় যে উড়ে যেতে চেয়েছিল
লাভা মুখ থেকে তারই আশ্রিত পাপ তাকেই টানছে গভীরে
পাপ কি?
যেখানে পিতাকে অস্বীকার করা হল
তারপর সে বয়ে গেল নদী হয়ে হীমযুগ গলাবে করে .
তাহলে অহংকার কাকে বলে?
ক্ষমার অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে যে মৃত্যুদণ্ড দেয় না
আমরা ফিরে আসি কারণ যে ম্যাজিক অর্থহীন, সেই আমাদের বিপরীত-দ্বিত্ব
আমার প্রিয় চতুর্ভুজ
আমি জানি প্রতিটি চতুর্ভুজের মাঝে একটি করে বৃত্য আছে
প্রতিটি বৃত্যকে ঘিরে আছে কেন্দ্র
তারপর সেই কেন্দ্র থেকে উঠে আসা মৃত্যু
কানে কানে বলে দেখো অন্তর্মুখী জানালায় গরাদ নেই
হাসির শব্দে উপত্যকায় বন্যা এসেছে
লেপা উনুনের পাশে ঘুমিয়ে থাকা উরুর কক্ষপথ ভেঙে
নেমে আসছে দিন এক বৈচিত্র্য থেকে আরেক ছেঁড়া মালার উজান লিখে লিখে
তুমি তোমর জ্যামিতিটুকু কিভাবে আঁকবে
উঠোনে যে পায়ের ছাপ কেউ পুকুরে গিয়েছিল ফেরেনি
মুছে ফেলবে নাকি মেপে রাখবে সময়ের হিশেব চাই বলে
আর সেই চতুর্ভুজের কোনায় পড়ে থাকা ধুলোর স্মৃতি
যে জানে বৃত্যের বাইরে সে