|| মানচিত্র আর কাঁটাতার, হৃদয় মাঝে একাকার || বিশেষ সংখ্যায় দেবব্রত রায়

স্বাধীনোত্তর পর্ব
ইচ্ছে থাকলেও ইদনীং জঙ্গলে আর শিকার করতে যাওয়া হয়না যাওয়াটা সম্ভবও নয় কারণ, স্বাধীনোত্তর যুগে শিকার সম্পূর্ণ বে-আইনি তবে,যতদিন চোরাই শিকার এবং,শিকারি থাকবে ততদিন জঙ্গল এক মূহুর্তের জন্যেও অভয়ারণ্য হয়ে উঠতে পারবেনা
এই সেদিনও, শিকার ছিল সম্পূর্ণ
লুকোচুরিবিহীন,একদম খুল্লাম খুল্লা
তুড়ি ভেড়ি বাজিয়ে,ভৈরবনাদে জঙ্গল কাঁপিয়ে পাইক বরকন্দাজ একটি বধ্যভূমিতে পশুদের তাড়িয়ে আনতো আর,ঘোড়ার পিঠে বসে বিষাক্ত তীর,বল্লমের আঘাতে রাজা- মহারাজারা
প্রায় একপেশে মৃগয়াপর্বে নিজেদের আপ্যায়িত করতেন
এই অপ্রয়োজনীয় রক্তপাত- ই বোধহয়,পশ্চিম-দিগন্তটিকে ক্রমশ সিঁদুরবর্ণ করে তুলেছিল
পরবর্তীকালে শিকার আরও নিশ্চিত
করতে তীর-ধনুক, ভল্লের পরিবর্তে
এলো আগ্নেয়াস্ত্র যদিও,গাদা-বন্দুক দিয়ে শিকারের পদ্ধতি ছিল প্রায় এক-ই রকম
হাওদার নিশ্চিন্ত আশ্রয় থেকে সায়েব-সুবো-র দল গুলি চালিয়ে নিরীহ পশুদের হত্যা করতো
তবে,সবসময় শিকার যে একতরফা হতো তা মোটেও নয়,কখনো কখনো দাঁত আর নখের বিবর্তিত আক্রমণে শিকারি-ই শিকারে পরিণত হয়ে যেতো আসলে,অস্তিত্বের সংকট-ই একটি পশুকেও শিখিয়ে দেয় a+b হোলস্কয়ার ভাঙার কৃৎ-কৌশল