Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ক্যাফে ধারাবাহিক উপন্যাসে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক (পর্ব - ১৭)

maro news
ক্যাফে ধারাবাহিক উপন্যাসে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক (পর্ব - ১৭)

শহিদ ভগৎ সিং চরিত

পঞ্চম অধ্যায় || তৃতীয় পর্ব - চলছে

   "সভার আদর্শ প্রচারের দায়িত্বে
আছেন ভগৎ সিং;  সভা- সমিতি, সুষ্ঠুভাবে  আহ্বান, পরিচালনা করার দায়িত্ব তাঁর, যদিও প্রকাশ্যে
এই সভার সঙ্গে 'HSRA'-এর কোন
সম্পর্ক নেই, যেন দু'টো সম্পূর্ণ আলাদা, সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠান, কিন্তু-------। "
  "1928 সালের এপ্রিল মাসের সভাতেই, কয়েকজন প্রগতিশীল কংগ্রেসের সমর্থনে স্থির হয় যে, অনাবৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে খাজনা মকুব ও জলকর হ্রাসের জন্য
'কীর্তি',কিষান পার্টির      আন্দোলনকে  সমর্থন  জানানো হবে। বৃটিশ সরকার, অবস্থা সামাল দিতে, অচিরেই খাজনা মকুব ও জল- কর হ্রাসের দাবীকে
স্বীকৃতি দেয় ও কার্যকরী করে। ঐ
বছরই সভা,  বারদলুই (Bardoli Kishan) কিষান সত্যাগ্রহকে
সমর্থন জানায় ও এটাকে কিষান বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করে; সত্যাগ্রহ চালিয়ে যেতে কিষান- দের উৎসাহ জোগায়। "
   "ফলতঃ, এই 'কীর্তি' সভ্যেরা, নৌ-জোয়ান ভারত সভার সাথে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। 1928
সালের সেপ্টেম্বর মাসে, লায়ালপুরে যে পাঞ্জাব প্রাদেশিক
কংগ্রেস অধিবেশন হয়, তার প্যান্ডেলেই নৌ- জোয়ান ভারত সভার দ্বিতীয় কংগ্রেস ও প্রথম কীর্তি কিষান অধিবেশন, যৌথভাবে করার প্রস্তাব, সভাকে জানায়। কমরেড এস- এ- ভাঙ্গের সভাপতি করার কথা; কমরেড স্প্রাটেরও বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও, কেউই  উপস্থিত হননি। বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ ছাবিলদাস মশাই'র সভাপতিত্বে যৌথ- উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। লায়ালপুর কংগ্রেস কমিটি সর্বতোভাবে, নৌ-জোয়ান ভারতসভা ও কিষান পার্টির যৌথ উদ্যোগের সভাকে স্বাগত জানায়।"
   "নৌ-জোয়ান ভারত সভার পরিচিতি বেড়েছে, যুবকদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে; স্কুলের ছেলেদের মধ্যে 'বাল- ষ্টুডেন্ট ইউনিয়নের' প্রসার ঘটছে। লালা- লাজপৎ রাই'র সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকলেও, তাঁর নাতিরা,
ভগৎ সিং'র ভক্ত, 'বাল- সভার সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্ট। "
    "মন্টেগু- চেমস্ফোর্ড রিফর্ম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতকে কতটা স্বাধীনতা দেওয়া যায়, ভারতবাসী, আদৌ সেল্ফ-
গভর্নমেন্টের উপযুক্ত কিনা, তা সব যাচাই করতে ইংল্যান্ড থেকে স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে 'এক ব্যক্তি' কমিশন পাঠানো হয়েছে। এটা ভারতবাসীকে অপমান করা হচ্ছে মনে করে, দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা শুরু হয়েছে, অর্থাৎ শুধু
সাদা- চামড়া কেন,  ব্রাউন সাহেবকেও কেন কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। নৌ- জোয়ান ভারত সভার সদস্যরা, সবাই স্থির করেছে, 'সাইমন- কমিশন', লাহোরের মাটিতে পা রাখতেই, 'Simon Go Back'স্লোগান তোলা হবে, কালো পতাকা দেখানো হবে, ভারতবাসী
যে অপমানিত, তা কমিশনকে বোঝাতে হবে। "
    "আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সবাই লালা- লাজপৎ রাই'র
কাছে এসেছে; উনি, ভগৎ সিংজিকে একদম সহ্য করতে পারেন না, কারণ, ভগতের জন্যই
তাঁর পপুলারিটি পড়তির দিকে। লালাজি, এ সুযোগ হাতছাড়া করলেন না; পণ্ডিত মালব্য ও তিনি, এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হলেন। "
    "1928 সালের 30 অক্টোবর তারিখে 'সাইমন' কমিশনের, লাহোরের মাটিতে পা রাখার কথা;
আগের দিন থেকেই প্রস্ততি চলেছে। ঐ 30 অক্টোবর, সকাল থেকেই হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মীও নৌ-জোয়ান ভারত সভার সদস্যরা, লাহোর রেল- ষ্টেশন চত্বরের অনতিদূরে জমায়েত হয়েছে। এদিকে, রেল- ষ্টেশন চত্বরে যাতে বিক্ষোভকারীরা না
আসতে পারে, নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে, কালো পতাকা না দেখাতে পারে, তার জন্য ইংরেজ প্রশাসন, চত্বরে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে; সাদা চামড়ার অধীনে  দেশীয় লাঠিধারী, উর্দি-পড়া পুলিশ- বাহিনীও  সর্বতোভাবে বিক্ষোভ ঠেকাতে  মুখিয়ে রয়েছে। "
চলবে
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register