ভারতবর্ষ হলো স্বাধীন,
চারিদিকে খুশির জোয়ার
হৈ হৈ করে বেড়িয়ে পড়লো
আবালবৃদ্ধবনিতা রাজপথে।
আমিও হলাম খুশি
আজ আমি স্বাধীন।
কিন্তু যে স্বাধীনতাকে বারবার খুঁজেছি,
গভীর অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েও
হাতড়ে বেড়িয়েছি একাকী পাগলের মতো,
সে স্বাধীনতা আমি পাই নি।
ভারতবর্ষ, তোমার কি জানা আছে?
তোমাকে স্বাধীন করবার জন্যে
কত শহীদের রক্তে বয়েছে রক্তগঙ্গা,
কত মায়ের বুক গেছে খালি হয়ে,
নিজেদের সুখ, শান্তি,মায়া, মমতা সবকিছু
বিসর্জন দিয়ে,কত তরতাজা নয়নের মণি,
কেউ ফাঁসির দড়িতে,কেউ বুলেটের গুলিতে
ঝাঁঝরা হয়ে প্রাণ দিয়েছে হাসিমুখে।
শুধুমাত্র ভারতবর্ষ, তোমাকে স্বাধীন করবার জন্যে।
তোমার কি আজ মনে পড়ে সেসব কথা?
নাকি তুমিও আজ হয়েছো নেমকহারাম
দু পেয়ে স্বার্থান্বেষীদের মতো?
স্বাধীনতা লাভের এতবছর পরেও কি
সত্যি আমরা হতে পেরেছি স্বাধীন?
আমরা তো এখনও সেই অন্ধকূপের মধ্যে
রয়েছি বদ্ধ।
কোথায় স্বাধীনতা?
জাত পাতের বিচারে?
না।
হিংসা, মারামারি, দলাদলিতে শেষ হচ্ছে
কতশত প্রাণ প্রতিদিন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব যাচ্ছে বিকিয়ে,
অনাহারে, অপুষ্টিতে কতশত শিশু
যাচ্ছে মৃত্যুর কোলে ঢোলে।
ভারতবর্ষ, তুমি কি শুধুই দেখবে অবলীলাক্রমে
স্বাধীন চিত্ত নিয়ে?
আজও ভারতবর্ষের মাটিতে মেয়েরা কি
সম্পূর্ণ হয়েছে স্বাধীন?
মেয়েরা এখনও নিরাপদ নয়
দেশের মাটিতে।
মেয়েদের হতে হয় ধর্ষিতা,
হতে হয় লোভের শিকার,
পরপুরুষের সাথে আলাপ করলে-
তকমা এঁটে দেওয়া হয় পিঠে বেশ্যা বলে।
হায়! কোন্ স্বাধীনতা পেলাম আমরা?
হে ভারতমাতা, যদি পারো ক্ষমা করো
এই অবোধ সন্তানটিকে।