গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

১| খেলা

চরিত্র এবং কৌশলের মধ্যে অস্তরাগের খেলা চলে

আজানুলম্বিত দৃঢ়তা আর মেঘলা দিন ভেদ করে উঠে আসা বাহুবলী যে বেপরোয়া ঘুঁটি রচিত করেন

সব সমীকরণ মুখস্থ করার পর যা পড়ে রইলো
যা তোমার বশে নেই অথচ তোমার ছায়া দিয়ে
অন্যেরা লাভজনক বোনভোজনের ফূর্তি গুলো সংগ্ৰহ করলো গোপন খাতায়

সবাইকে ভৌগলিক ভাবে নিরীক্ষন করা হবে
যারা নাভিতে চতুরতা জমিয়ে এগিয়ে দিচ্ছে দান

সন্দেহজনক গন্তব্যগুলো ঠিক কতটা লিপিবদ্ধ করার পর খুলে নেওয়া হবে আমাদের দু’শ ছটা ক্যালসিয়াম
ধর্মাবতার আপনি ভাবেন আমরা অপরাধী
তাহলে দুধসরোবরে কেন খিলজীর প্রেমিকাকে
চোখ বেঁধে কোন এক মিথিলা স্তম্ভে জমিয়ে রাখলেন

আগামী তিনশো বছর কোন অন্তর্বাস পরবেনা আমাদের কুন্তী

২|

মহা পাগলি সরস্বতী
হাঁসকে দেয় লেলিয়ে
যাও মর্তে দুচারটে
এসো সব কেলিয়ে

বছর দুই লকডাউনে
মহাঅলস গাধার দল
অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন এর
জানে কি হয় মৌল জল

মহা পাগলি বিদ্যাদেবী
সরস্বতৈ নমস্তুতে
প্রথম শাড়ী প্রেমিকাকে
বলো কিনা পারবো ছুঁতে।

৩| ক্লোনচর

আগুনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছুড়ে দেওয়ার পর দেখা গেলো তুমি রাশিচক্রের এক অদ্ভুত জাতক

মৌমাছিরা যে ভাষায় দায়বদ্ধতার কথা বিনিময় করে
মৃত্যুর অল্প দূরে
বোতাম থেকে ঝরে পড়ছে যে মিথ্যা এস্রাজের গান
তাদের পাশে অকাতরে শুয়ে থাকে তোমার দৈবী অবতার এর রূপক

তোমার অঙ্গ থেকে খুলে নেয়া হবে বৃক্ক অগ্নাশয় আর উপদাংশের কিছুটা
যদিও হৃদয় নামক যন্ত্রটিকে বলা হয়েছে জলসা ঘরে টিকিট বিক্রেতা ভূমিকা পালন করতে অথবা বিনোদিনীর খাস খানসামার ভুমিকায় নেমে পড়তে

এখন সবাই মিলে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াবে কোন বিকল্প ক্লোন তোমার নির্ভেজাল গিটারকে অগ্নুৎপাত এর শেষে উপহার দিতে পারে হিমবাহের প্রিন্ট আউট

পাল্কি এলো বলে।
চারজন হুনহুননা তোমাকে নিয়ে যাবে গোলমরিচ ক্ষেতে
আসলে সেই চারজনই এক একজন
স্বয়ংসম্পূর্ণ তুমি।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।