|| শাম্ভবী সংখ্যা ২০২১ || T3 শারদ সংখ্যায় চিরঞ্জীব হালদার

১| স্ব

পৃথিবীর সমস্ত হরিন আমার বান্ধব
জল খেতে আসে এতো জল কই
জলে মিশিয়ে দিই নগর শহর আর
ধারালো কিছু খুচরো মৌল অনুভব।

সমস্ত মিথ্যে কথা জিজ্ঞেস করে
কাদের সাথে ভাসাও প্রনয় তরনী
অজ্ঞান ছেনি ও বাঁটালি দিয়ে গড়া
মরমীয়া বাথানে তুমি ঘর তো করোনি।

সে ঘরে বসত করে তুলাদন্ড আর
কিছু ভুলভাল চেতনা পাখি ডানাহীণ।
সেই সব সংসার জমাট ও স্বাভাবিক
হাওয়াদের কাছে ঘুড়ি শোধ করে ঋণ।

২|

হামাগুড়ি দেওয়া ভন্ডদের মত
ঢুকে পড়েছি নৈশ রাতের নাভিদ্বীপে।

চুরি করার ধর্ম থেকে সমূহ চুরি করার পর
সাতদিনেও ভাগের ভাগ কিছুই পড়েনি।

তেজপাতাগাছ আমার নাম জানলো কি করে।
আমার গোপন ক্ষত থেকে একজন চতুর
বের করে আনেন জবা ফুলের পরাগ।
কি করে জানলো জবানবন্দী দেবো বলো আমি
বিকেলটা ফুসলিয়ে নিয়ে গেছি সুদর্শন হস্তবিষারদের খপ্পরে।
তার স্তনভাঁজ থেকে পারফিউমের বদলে
লোহিত সাগরে নিরুদ্দেশ হরিয়াল পাখির
ডাক ভেসে আসছিলো।

যে মোকাম থেকে ভন্ড পোষাক ধার নেওয়া হয়েছিল
তার মালকিন যে আমার ফিঁয়াসে হতে পারে।
হতে পারে এই ক্ষেত্রফলে সমস্ত অচল ঘড়িরা
অন্তর্বাস খুলে স্বর বদলালে আমার কি করার থাকে বলুন।

কার এত সময় আছে এই অন্তস্যুত চৌর্যের থেকে
বের করে আনবেন বিস্মৃতির অঘ্রাণ প্রহর।

৩| ভূ

এই অসহায় ভাসমান ভূখন্ডে বসে
এক বাসনাদাসী আত্মজের জন্য
রাঢ়ীব্রীজের ছায়ায় মৃৎপাত্রের সমাহার।

আমরা ধোঁয়া ফুকি আর আলবেনিয়ার সেনসেক্স বনাম ধর্মান্ধ মৎস্যের মিত্রতার তাত বুঝে নিয়ে
হাঁটা দিই নিরাপদ প্রেমিকা সন্দর্শনে ।

আমার বন্ধুর নাম ইব্রাহিম।
তার লাশ রাষ্ট্র বহন করবে বলে কথা রাখেনি।

আমার হাঁটু ছিঁড়ে নেমে আসা আভিজাত্য
আর যৌনতা দিয়ে কুড়ানো ভারতীয় মুদ্রা
দুজনের মধুচন্দ্রিমা শেষ হলে
নৈতিক ভিক্ষুকতার লাইনে দাঁড়িয়ে দেখে যাই
এই দু’হাজার একুশের বিশ্বকর্মা কতটা ঘুড়িবাজ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।