অদ্ভুত কুৎসিত ওই মুখোশের চোখে
কি যে আছে ! কিসের যে ভয়!
সারারাত অপলক চেয়ে বসে থাকি
যন্ত্রনায় মাথা ছিঁড়ে যায়।
ওই দুটো চোখ, সারা বিশ্বের শুভবোধ
নরকের আগুন জ্বালিয়ে গ্রাস করে,
আমার মনের মাঝে আতঙ্কের হিম
জীবন আটকে গেছে কৃষ্ণগহ্বরে।
নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে যেন
মন বলে পালাও, পালিয়ে যাও দূরে —
আমার সে শক্তি নেই, মন্ত্রমুগ্ধ সাপ
বাঁধা পড়ে আছি কোন বেদেনীর সুরে।
লানডং গুম্ফা থেকে চুরি করে আনা
জেনে বুঝে করা সেই জঘন্য পাপ,
কেবল বুঝিনি আমি মুখোশের সাথে
নিয়ে এসে গেছি হেরুকের অভিশাপ।
আমি মানসিক রুগী নই, নই ডাক্তার,
ধর্মাবতার যাই দিয়ে থাক রায়;
সবকটা খুন ওই মুখোশেরই কাজ
ওকে আমি রোজ দেখি সব আয়নায়।
“একেবারে লস্ট কেস”, ছাত্রদের বললেন ডাক্তার রায়।
“মুখোশ হয়নি চুরি, সে মুখোশ আজও আছে সেই গুম্ফায়”।