আজকের লেখায় চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য

প্রেমের জয়গান

নাৎসি কারাগারে লাভ জিহাদের অমর কাহিনী

ফেব্রুয়ারি মাস। ‘তোমাদের ভালবাসা এখনও গোলাপে ফোটে’। কত যে দিবস – রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট, হাগ, কিস ডে কাটিয়ে শেষে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’। কত প্রেম ঝরাপাতা হয়, আবার কত প্রেম গড়ে ওঠে বসন্তের কোকিলের ডাকে। সাধু ভ্যালেন্টাইনের বদলে আমি যদি দিনটাকে ‘ফ্রাঞ্জ – সিট্রোনোভা ডে’ বলি আপত্তি হবে? ফ্রাঞ্জ উনশ্চ আর হেলেনা সিট্রোনোভার ‘লাভ জিহাদ’ এর কাহিনী তো অমর! নাৎসি মৃত্যু শিবিরে নিষিদ্ধ প্রেমের কাহিনী ! জেহাদ ঘোষণা করা সেই প্রেম আর্য গরিমার ঝুটো গর্বকে পরাস্ত করে জয়ী হয়েছিল।
১৯৪২-এর বসন্তে স্লোভাকিয়া থেকে একটি ট্রেন বোঝাই বন্দীদের পাঠানো হচ্ছে পাশের দেশ পোল্যান্ডের আউশভিৎসজ-এ। যাত্রীদের অধিকাংশই নারী আর শিশু। স্লোভাকিয়ার তরুণী হেলেনা সিট্রোনোভা তাদেরই একজন। তারা সবাই ইহুদি এবং সেটাই তাদের গর্হিত ‘অপরাধ’। হিটলারের উত্থানের ফল কী, তারা জানেন। মনের কোণে স্তুপীকৃত যন্ত্রণা, ভয়, আতঙ্ক আর রুদ্ধ কান্না। সেই কান্নার বাষ্পে আবছা হয়ে উঠছে চলন্ত ট্রেনের জানালার ঘষা কাঁচ।
ট্রেনে মেয়েদের ভিড়ে হেলেনা সিট্রোনোভার সঙ্গে আছেন তার দিদি ও দিদির দুই সন্তান। সবাই স্পষ্টই জানেন, পরিণতি মৃত্যু। হয়তো শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছেন সোনালী গমের ক্ষেত, ম্যাপেলের সোনালী পাতায় ছেয়ে যাওয়া পথ, পাহাড়ি ঝর্ণা বা টলটলে নদী। জানেন, বেঁচে থাকা বাকি জীবনটা শুধু মৃত্যুর কাল গোনা। আর কখনও নিজের দেশের জল, মাটি, গমক্ষেত, ম্যাপল পাতা, ঝর্ণা বা পাহাড়কে স্পর্ষ করার অবকাশও পাবেন না তারা।
নয় বছর আগে, ১৯৩৩-এ, জার্মানিতে আর্য রক্ত আর জাতিয়তাবাদের উন্মাদনায় হিটলার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই গেস্টাপো বাহিনীর কুচক্রী আমলারা ন্যুরেমবার্গ আইন তৈরি শুরু করে। সেই আইনে বলা হয়, আর্য রক্তের কেউ কোনও ইহুদিকে ভালবাসা বা বিয়ে বা প্রেমঘটিত যৌন সম্পর্ক রাখতে পারবে না। অন্যথার শাস্তি, নাৎসি জেলখানা। শাস্তির মেয়াদ শেষে ইহুদিটি, পুরুষ বা নারী যাই হোন, যাবে গেস্টাপো বাহিনীর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এবং পরের গন্তব্য গ্যাস চেম্বার। আর, নাৎসি বাহিনীর কেউ যদি কোনও ইহুদি নারীর প্রেমে পড়েন, তার শাস্তি সরাসরি মৃত্যু – গ্যাস চেম্বার বা ফায়ারিং স্কোয়াডে। ১৯৩৫ এ রাইখস্ট্যাগ এই আইন গ্রহণ করে। এখন যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে কিছু রাজ্যের ‘লাভ জিহাদ’ আইনে।
হিটলারের ভয়ঙ্কর মারকুটে, দাঙ্গাবাজ ষড়যন্ত্রী শুৎজটাফেল বাহিনীর (সংক্ষেপে ‘এসএস’) এক সদস্য ফ্রাঞ্জ উনশ্চ। বয়স মাত্র ২০ বছর। ফ্রাঞ্জ আউশভিৎসজ-এর এসএস গার্ডস, ডিউটি গ্যাস চেম্বারে। কাজটা ভয়ঙ্কর কঠিন। হৃদয়ে ‘দয়া, মায়া’ জাতীয় কিছু থাকলে কারও পক্ষে চামড়ার আস্তরণ সম্বল হাড়জিড়জিড়ে হাজার হাজার মানুষকে রোজ হত্যা করা অসম্ভব ! এস এস গার্ডস ফ্রাঞ্জ প্রতিদিন এই কাজ করেন। নির্দয় কষাইয়ের মতো কাজের পর আউশভিৎজে মদ আর বন্দী ইহুদি মেয়েদের উদোম শরীরে থাকে তৃপ্তির ব্যবস্থা। শুধু একটা নিষেধাজ্ঞা — ধর্ষণ চলবে, কিন্তু ধর্ষণের সময় মেয়েটিকে চুমুও খাওয়া যাবে না। আবেগ গর্হিত অপরাধ।
ফ্রাঞ্জের জন্মদিন ২১ মার্চ। ১৯৪২-এর সেইদিনে ফ্রাঞ্জ ২১ বছরে পা দেবে। এস এস গার্ডসরা সেদিন উৎসব করবে সন্ধ্যা থেকে। ঢালাও ফুর্তির ব্যবস্থা। সকালেই এস এস গার্ডস মেয়েদের ব্যারাকে খবর নিল, “অ্যাই, তোদের কে বার্থডে সং গাইতে পারিস?” ভাবুন, যারা জবাই হওয়ার অপেক্ষায়, মৃত্যু যাদের শিওরে, তাদের গাইতে হবে জন্মদিনের গান ! আর্য জাতির ফূর্তির জন্য ! কী নির্মম পরিহাস !
সবাই স্তব্ধ। পায়ে পায়ে এগিয়ে এলেন সিট্রোনোভা — ‘আমি পারি’। বাকি মেয়েরা শিউরে উঠল। ‘হায় হায় ! ওকে আজ ওখানেই জ্যান্ত ছিঁড়ে খাবে দস্যুগুলি, ছিবড়েটা ছুঁড়বে যাবে ফার্নেসে…!”
হেলেনা ভাবছিলেন, “মরতে তো হবেই। মৃত্যর আগেও অন্তত একবার তো জীবনের গান গাইতে পারবো। উৎসবে শেষবারের মতো গান গাইতে পারব। মৃত্যুকে পরাস্ত করতে পারবো !”
হেলেনা সিট্রোনোভাকে সুন্দরী বলা যায় না। তার ওপর দিনের পর দিন প্রায় অনাহারে, অকথ্য অত্যাচারে শরীর আক্ষরিক অর্থেই কঙ্কাল। তার দিকে এর আগে কোনওদিন তাকানোর তাগিদ বোধই করেননি তরুণ অফিসার ফ্র্যাঞ্জ। সেদিনও জানতেন, কেক কাটার গান গাইবে বলে একটা ছুঁড়িকে ধরে আনা হয়েছে। ক্যাম্পের অসংখ্য ইহুদি নারী শরীরের একটা।
সত্যিই মৃত্যুকে পরাস্ত করতে প্রাণের সমস্ত আবেগ ঢেলে গান গাইলেন হেলেনা। উজাড় করলেন জীবনের প্রতি প্রস্ফূটিত গোলাপের ভালোবাসা। গানের সুরে মিশিয়ে দিলেন স্লোভাকিয়ায় ফেলে আসা মা, বাবা, ভাই, ক্যাম্পে আটক বোন, বোনের সন্তানদের প্রতি আবেগ এবং ছেড়ে আসা প্রেমিককে না পাওয়ার যন্ত্রণা।
অপলক ফ্র্যাঞ্জ! ভাবছেন, মৃত্যুর দরজায় দাঁড়িয়ে কেউ কি এত সুন্দর গাইতে পারে? কসাইয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তারই হবু শিকার ! এও অসম্ভব !
কেক কাটার পর চলছে অঢেল মদ্যপানের উৎসব। উত্তেজনা চূড়ান্ত হলে কোনও না কোনও ইহুদি মেয়ের সর্বনাশ হচ্ছে। রোজই হয়। ফ্রাঞ্জও মদমত্ত, কিন্তু মনে হেলেনার গানের রেশ। সহযোদ্ধাদের নজর এড়িয়ে গেলেন নিজের অফিসে, পরদিন কাদের গ্যাস চেম্বারে ঢোকানো হবে, তালিকাটা দেখতে। চমকে উঠলেন ! পর পর দুটি নাম – হেলেনা সিট্রোনোভা, রোজিঙ্কা সিট্রোনোভা। হেলেনার কথা জেনেছেন এখনই, কিন্তু রোজিঙ্কা কে? গেলেন মেয়েদের ব্যারাকে। এখানে গার্ডরা যায় নৈশভোজের ইহুদি মেয়েদের ধরে আনতে। খুঁজে পেলেন হেলেনাকে, টেনে নিয়ে এলেন। তার হাতে গুঁজে দিলেন একটি চিরকুট — “লাভ। আই ফল ইন লাভ উইথ ইউ।”
হেলেনার মাথা থেকে পা রাগে ঘৃণায় চিড়বিড় করছে। তার ভাষায়, “আমার তখন মাথা থেকে পা জ্বলছে। ভাবলাম, এক এসএস গার্ডসের প্রেম স্বীকার করার চেয়ে মৃত্যু ভাল। ফ্রাঞ্জের ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করেনি।” চিরকুটটা ছুঁড়ে দিলেন ফায়ারপ্লেসের আগুনে। ফ্রাঞ্জ দেখলেন এবং তারপর জন্মদিনের শরীরি উৎসবে মেতে ওঠার জন্য নিয়ে এলেন হেলেনাকে। মিলন হলো। হেলেনা অনুভব করলেন, প্রতিদিনের মতো শাস্তিদায়ক ধর্ষণ হল না, বরং স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ভালোবাসার। দুর্বল মুহূর্তে চিরকুটের জবাব দিলেন হেলেনা — “কি হবে ভালোবেসে? কালই তো গ্যাস চেম্বারে পাঠাবেন !”
ফ্রাঞ্জ বললেন, “তার আগেই চাই প্রতিশ্রুতি। প্রেমকে স্বীকার করলে একটা চেষ্টা তো করতে পারি।”
কেঁদে ফেললেন হেলেনা, “পারবেন, বোনকে বাঁচাতে ? পারবেন না। ওর দুটো বাচ্চা আছে।”
হেলেনার বোনের নামটা জেনে ফ্রাঞ্জ বললেন, “রোজিঙ্কা ! আহা, বাচ্চাদের কথা ছাড়ো। এখানে বাচ্চারা এমনিতেই বাঁচবে না।”
ফ্রাঞ্জ ফিরে গেলেন সেই রাতে। পরদিন যাদের নাম ছিল গ্যাস চেম্বারের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর তালিকায়, সেখান থেকে কেটে দিলেন হেলেনা, রোজিঙ্কার নাম।
তার পর থেকে হেলেনা আর রোজিঙ্কা যাতে দু’ বেলা অন্তত বেঁচে থাকার মতো খাবার পায়, যাতে লজ্জা নিবারণের কটিবস্ত্র টুকু পায়, সকলের নজর এড়িয়ে খেয়াল রাখতেন ফ্রাঞ্জ। ফ্রাঞ্জ ভালই জানতেন, তার প্রেমের সামান্যতম ইঙ্গিত কাকপক্ষী টের পেলে আগে তাকেই যেতে হবে মরণঘাটে। হেলেনা, রোজিঙ্কাদের মৃত্যু তো হবেই। অন্তত ওদের মৃত্যু আটকাতে হলে গ্যাস চেম্বারের তালিকা থেকেই ওদের দূরে রাখতেই হবে।
কর্তৃপক্ষকে তুষ্ট করে তালিকা বানানোর দায়িত্ব নিলেন নিজে। তালিকা বানাতেন অতি সতর্কতায়, যাতে সামান্য অসতর্কতায় গ্যাস চেম্বারের বন্দী তালিকায় হেলেনা, রোজিঙ্কার নাম না থাকে। আবার, কোনওভাবেই যেন এই নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ না হয়। এভাবেই ফ্রাঞ্জ টানা তিন তিনটি বছর ওদের মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখেন।
১৯৪৫ এর ৯ মে। প্রয়াণের পর রবীন্দ্রনাথের তৃতীয় জন্মদিন। নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী হল মানবতা। লাল পতাকা উড়ল রাইখস্ট্যাগে। গুঁড়িয়ে গেল আউশভিৎসজ কারাগারের একাংশ। বেঁচে গেলেন হেলেনা, রোজিঙ্কা আর কিছু ইহুদি বন্দী। বেঁচে যাওয়া বন্দীদের সঙ্গে হেলেনারা চেষ্টা করলেন নিজেদের দেশ স্লোভাকিয়া ফেরার। পথে নানা বিপদ কাটিয়ে হেলেনাকে নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে রোজিঙ্কা অনেক কষ্টে ফিরলেনও। কোনও রকমে কাটতে থাকল তাদের জীবন। তিন বছর পর, ১৯৪৮-এ জন্ম নিল ইহুদিদের নিজের দেশ ইজরায়েল। রোজিঙ্কা, হেলেনা চলে এলেন জেরুজালেম। ফ্রাঞ্জ রয়ে গেলেন হেলেনার হৃদয়ে। তার কোনও খোঁজ নেই।
অন্যদিকে, পরাজিত জার্মান এস এস গার্ডসের জীবিত সৈনিক ফ্রাঞ্জ ফিরলেন অস্ট্রিয়ায়। তার বিরুদ্ধে আছে যুদ্ধ অপরাধের মামলা। ফ্রাঞ্জ জানেন, যা অপরাধ করেছেন, তার জন্য শাস্তিই তাঁকে খুঁজে নেবে। হেলেনার ঠিকানাও তিনি জানেন না। খোঁজার চেষতাও অর্থহীন। হেলেনা তো জানে, শেষ পর্যন্ত ফ্রাঞ্জ তার শত্রুই তাঁকে হয়তো ভুলেই গেছে এতদিন, বা ধর্ষক হিসেবেই মনে রেখেছে। সিদ্ধান্ত নিলেন, বাকি জীবন সেই শাস্তির অপেক্ষায় এবং তারপর শাস্তির জীবন কাটাবেন।
কেটে গেল আরও ২৪টি বছর। ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেন যুদ্ধ অপরাধী ফ্রাঞ্জ উনশ্চ। বয়স ততদিনে ৫০ উত্তীর্ণ। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় শুরু হল বিচার। সাক্ষ্য দিতে এসে আউশভিৎজের জীবিত বন্দীরা এঁকে এঁকে বললেন, “ফ্রাঞ্জ একটা কসাই। তার রক্তের প্রতি বিন্দুতে ইহুদীবিদ্বেষ। ইহুদি বন্দীদের কাকে কবে গ্যাস চেম্বারে ঢোকানো হবে, তার সিদ্ধান্ত নিতো ফ্রাঞ্জ।
সত্যিই তো, ফ্রাঞ্জ নিজেই তো সেই বন্দী নির্বাচনের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছে, নির্মমভাবে তা পালনও করেছে। কেউ জানে না, তার পিছনে ছিল নিষিদ্ধ প্রেমের প্রতি শ্রদ্ধায় দুটি প্রাণকে বাঁচানোর তাগিদ। কেউ জানতোও না, তাই আদালতও জানতো না। ফ্রাঞ্জের যুদ্ধ-অপরাধ প্রমাণের অভাব হল না। আউশভিৎজের নথিপত্রও তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। রায় হতে পারে, প্রাণদণ্ড, অন্তত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
রায় দেওয়া হবে, এমন সময়ে আদালতে এলেন হন্তদন্ত দুই মহিলা। ফ্রাঞ্জের বিচারের কথা সংবাদপত্রে পড়ে তাঁরা ইজরায়েল থেকে এসেছেন। হেলেনা সিট্রোনোভা আর রোজিঙ্কা। রোজিঙ্কাই মূল সাক্ষ্য দিলেন। সেট্রোনেভা শুরুতে মুখ নিচু করে ছিলেন। লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতে পারেননি ফ্রাঞ্জের দিকে। তারপর জেরায় অকপটে সব বললেন। জানালেন হিটলারের কারাগারে লাভ-জেহাদের বিধর্মী গোলাপ ফোটা আর কাঁটাতারের বেড়ায় সেই গোলাপকে কিভাবে রক্ষা করেছেন ফ্রাঞ্জ।
আদালতে সব অপরাধ স্বীকার করে ফ্রাঞ্জ জানালেন, “হ্যাঁ, সত্যিই আমি সিট্রোনোভাকে ভালবেসে ফেলি। ওর প্রভাবে সেদিন থেকেই বদলাতে শুরু করি। হাবিনীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি ভালবাসার টানে। যুদ্ধ শেষে ওকে হারিয়ে ফেলি, কিন্তু নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছি।”
আদালত সেদিন ভালবাসাকে অস্বীকার করেনি। স্বীকৃতি পেয়েছিল নিষিদ্ধ ভালবাসার পবিত্র পোলাপ! বেকসুর খালাস পান ফ্রাঞ্জ উনশ্চ।
না, শেষ পর্যন্ত এই দুজনের সংসার বাঁধা হয়নি। হেলেনা আর ফ্রাঞ্জের বিয়ে হয়েছিল অন্য দু’ জনের সঙ্গে। হেলেনা সিট্রোনোভার মৃত্যু হয় ২০০৫ এ, ফ্রাঞ্জ চলে যান ২০০৯-এ। তাদের অমর প্রেমকথা নিয়ে অনেক উপন্যাস, গল্প আছে। নথির ভিত্তিতে প্রামাণ্য ইতিহাস গ্রন্থও আছে। তাদের অমর প্রেমকথা নিয়ে মায়া সারফাতির তৈরি ‘দ্য মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান’ চলচ্চিত্রাটি ২০১৬ সালে ইজরায়েলের ‘আকাদেমি অফ মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর স্বর্ণপদক পায়।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।