T3 || কোজাগরী || বিশেষ সংখ্যায় চ্যাটার্জী অমল

পরিণতি

সেই ভুল আবার করলে
পইপই করে বলেছিলাম কাক জোছনার
ধারালো রূপে মশগুল হয়ে মজে যেওনা,পসরা
সাজিয়ে বসত গড়তে ভোরের ঢের সময় বাকী।
নিদারুণ অবজ্ঞায় আমার কথা কেটে উলঙ্গ করলে। অতি উৎসাহে ইচ্ছেদের জাগিয়ে মরিচিকার পিছনে ছুটলে আলো ভেবে আগুনের ডালি ধরতে। সওয়াল জবাবে জীবনের কাঠগড়ায় ভাঙ্গবে তবু মচকাবেনা। অনুশোচনার ছিন্ন কুঠুরিতে প্রায়শ্চিত্তের মধু ঢেলে শাপমোচন করলে ভুল সিদ্ধান্তের।

ঘটনার আর কী দোষ বলো, তাকে ডেকে এনে
ফুল চন্দন দিয়ে বরণ করার পর বুঝতে পারলে
বেকুব বনেছো। ভাবনার বলিরেখায় খুঁত ধরলেই
তুরীয় মেজাজে কার্তুজের মতো ধেয়ে আসে এলোপাথাড়ি চোখাচোখা অবাধ্য শব্দ। ঢাক পিটিয়ে গুষ্টির নাড়িভুঁড়ি বার করে উপভোগ করো নিজের ঔদ্ধত্য।

তোমার ছাদ বাগানে অনেক ফুল-ই তো ফোঁটে,
তাদের কেউ কেউ গোলাপ হয়ে সুরভী ছড়ায়
আর কেউ কেউ দেখনদারি হয়ে বাগান সাজায় । সবাইকে কী তুমি গোলাপ বলো ? জানবে জানলায় দাঁড়িয়ে মায়াময় সবুজ প্রান্তর আর নীল আকাশ
যতটুকু দেখা যায় ততটুকুই সত্যি।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।