কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে বিচিত্র কুমার (গুচ্ছ কবিতা)

১| ভালোবাসা শব্দটি

কোন এক এলোকেশী একবিংশ শতাব্দীর মেয়ে
ভালোবাসা শব্দটি নিয়ে চলে যাচ্ছে কোন দিকে না চেয়ে,
স্বপ্নিল পৃথিবীতে হেঁটে হেঁটে দু’আঁখিতে স্বপ্ন এঁকে
ইচ্ছে নদীর উতলা তীরের দিকে।
এদিকে চিকিমিকি রৌদ্রে বসে প্রেমিক কবি
কবিতা লিখছে তার আপরূপ দেখে।

ফুল ফুটেছে গাছে গাছে প্রজাপতি উড়ছে
পাখিরা সুরে সুরে কত না ডাকছে,
কোথায় যাচ্ছো কোথায় যাচ্ছো ও মেয়ে?
জানি না কে যেন আমায় ডাকে চেয়ে চেয়ে?
রঙতুলিতে আমার ছবি আঁকে
হৃদয় মাঝে খোদায় করে আমায় রাখে।

২| রূপ ল‍াবণ‍্যের কন্যা

ফুলে ফুলে সাজেছে রূপ ল‍াবণ‍্যের কন্যা
ফাগুন এলেই পুষ্পে ছড়ায় রুপের শত বন‍্যা,
দীঘলকালো চুলগুলো তার যখন যায় খুলে
ভালোবাসার কবি আমি সবকিছু যাই ভুলে।

আলতা রাঙা পা দুটি তার সোনার নূপুর পড়া
হলুদ শাড়ির কারুকাজে আঁচলখানি ভরা,
ঝিরিঝিরি ফুলের পাপড়ি ওড়ছিলো তার শাড়ি
মিষ্টি হেসে বললো কথা অচিনা এক নারী।

হরেকরকম রেশমি চুড়ি রাঙা হাতে পড়া
কলেজ গেটে দাঁড়িয়েছিল ফুল কুমারী নীরা,
কি যে দারুণ লাগছিল তাকে একলা ফাগুনে
শতশত ফুলের মাঝে তার রূপের আগুনে।

৩| মিষ্টি একটা ভালোবাসায়

মিঠারৌদ্রে তোমাকে বহুবার চুল শুখাতে দেখেছি
আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে থেকেছি,
কল্পনাতে বাস্তবে মনে মনে তোমার ছবি এেঁকেছি
রঙধনুর সাত রঙে আমি একটা স্বপ্ন সাজিয়েছি।

তুমি পাখির মতো নীড়ে ফিরবে সেই আশায়
মিষ্টি একটা ভালোবাসায়,
গোলাপ এনে সাজিয়ে রেখেছি ফুলদানীতে
সুযোগ পেলে দিব তোমায়।

৪| সরিষা ফুল

হলুদ বর্ণের ঘোমটা পড়া কী অপরূপ মেয়ে
মিঠারৌদ্রের উষ্ণ ছোয়ায় থাকে আমার দিকে চেয়ে,
ইচ্ছে করে মনের কথা খুলে তাকে কই
মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে বলে ও আমার সই।
কি যে জ্বালা গেল বেলা একটু দূরে রই-
খিলখিলিয়ে হাসে পাখি তোমারটা কই?
লজ্জায় মুখ লাল টুকটুক বুকের মধ্যে ভীষণ অসুখ
সুদূরেতে লুকিয়ে রাখি মুখ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।