কবিতায় বলরুমে বিষফল

বিকার

চল.. পর্কের ঝোলে আজ লেবু মাখবো।
একটা একটা করে আঙুল চেঁটে খাবো।।
চল.. লেকের ধারে বসে গুনে ফেলি
ওর চোখে কত জল।।
ধ্যাৎ…

চল.. আজ একটু ধীর নয়, পা চালিয়ে পার করি,
রাস্তা সব।।
মুখোশ কিনি গোটাকয়।
ছাত্রদেরকে বলতাম, “জানিস তো রাক্ষস কাদেরকে বলা হয়”?
বাইরে থেকে আর্যরা এলো, এখানকার ভূমিপুত্ররা দেখতে কালো কালো সব।
কুৎসিত বিকট।।
না ছিলো সুশ্রী গঠন, টিকালো নাক।
আর্যরা এসে এদের রাক্ষস বললো,
শুরু করলো অপপ্রচার ও….
মানুষ খায় কিম্বা রক্ত, বাতাসে ছড়ালো গুজব।।
জমি সম্পদ?
হত্যা করা হলো আমার স্বজন।
কুৎসিত কালোরা মানুষ কি আদৌ?
রুপকথা তৈরি হলো,
রাক্ষসের সংজ্ঞায় হলো রং চড়ানো।
একপক্ষ দেবতা প্রচারিত হলো।।
ভেলকিতে কবি আর পুরোহিত জন।
থাক সে কথন….

চল… বেঞ্চিতে বসবো আজ কিছুক্ষণ।
কত দ্রুত ঘুরছে পৃথিবীটা বলতো?
চল ওঠ… নদীতে হেঁটে যাবো গলাজল।
চল ওঠ…
তিরতির করে কাঁপতে কাঁপতে উঠে যাই।
চল… আজ একটু পাহাড় থেকে নিচে থুতু ফেলে আসবো।
একটু দাঁড়াও… কতদিন প্রসাব করিনি উপর থেকে ঠিকঠাক।।
চলো… গড়াগড়ি যাই,
এত আদর, ঘাস পাথর ধুলোয়।
ভয় নেই ধরিত্রী, বন্ধা-পুরুষত্ব।।
চল… কিছু মেঘ ছুড়ে মারি,
টলে যাক ব্লাক হোল।।
চল…. একটু ঘুমাবো, ফুলে ফুলে সুনামি হোক।
আহহহ…
পকেটে সযত্নে রাখা কালো সিগার ঠোঁটে জ্বল আজ।
ঘুম আয়।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।