|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় বর্ণজিৎ বর্মন
by
·
Published
· Updated
ক্লাসিক্যাল মাইন্ডের উত্তরণ
গোসানিমারির হীরক বর্মন বিয়ে করে হুগলি-দশঘরার মেয়ে কস্তুরি দাম কে । বিয়ের প্রস্তুতি সময় থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে মন কষাকষি। তার উপর আবার সামাজিকতার খাড়া । এই বিয়ে কোনোমতেই হবে না হীরকের পাড়ার মোড়ল ছাপ ছাপ বলেদিয়েছে ।
দুজনই ভিন্ন জাতের । এই বিয়ে হলে তোমাদের সপরিবারে গ্রামে ত্যাগ করতে হবে । হীরকের বাবা পরে গেলেন মহা বিপদে একদিকে ছেলের ভালবাসার মেয়ে অন্য দিকে সমাজবিতাড়িত হবার ভয় । উভয় সংকট ঘিরে ধরেছে সমগ্র বর্মন পরিবারে আকাশ বাতাস ।এই পরিবারে ছিল শান্তির আবহাওয়া সব সময় । এরা রাজবংশী জনজাতির মানুষ সরল,সাদাসিদে,নম্র স্বভাবের ,মিশুকে সত্যবাদী ।
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী এবং পুরুষ । তাদের পছন্দ ,মনের মিল এটাই গ্রাহ্যকাম্য এখানে ।কিন্তু সমাজের কুনীতি এই একবিংশ শতাব্দীতেও প্রকট আকার ধারণ করেছে ।ফলে অযাচিত সমস্যা ও সংকট উত্তরণের মুখোমুখি হীরকের পরিবারকে পরতে হচ্ছে ।
সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে একদিন হীরক ও কস্তুরি কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় লগ্ন অনুযায়ী । এরাই ভবিষ্যত পথের দিশারি ।