তোমার যতি আমাকে নিঃশেষ করে
ফিরে গেছে পুনর্ভবার দিকে
তারপর সাঁওতাল-পল্লী, সান্ধ্য বাজার ছুঁয়ে
পুরোনো কেল্লা থেকে নেমে আসা লুব্ধক
আমাকে কামনা করেছে
শষ্পের মৃত্যু হয়
শব্দের ব্রহ্ম সে আঁধারে জ্ঞানরহিত হলে
রক্তে ধূসর চাঁদ ওঠে
দিনাতিপাত, আর একটু আরক্তিম হও
চায়ের কাপ থেকে উড়ে যাও
কৃপাপ্রার্থী আকাশের কাছ থেকে ফিরে এলে
হে শ্রমণ, তোমার ব্যাধি আরও দিনগত
অবাধ্য শব্দে মিশে যায় পাখিরা
তারা আজ নিষ্কাম
শান্তি
রোদ এখানে ব্যর্থ, ক্লান্ত ঘোড়ারা
অজানা আলোরেখা ধরে সকালের কুয়াশায় দেখে
সব প্রতিঘাত মরে যায়
তারপর ঘর ওঠে, পাশে পুকুরটি মহাবিশ্বময়
রুপোলি শুশুকের মুখ তোমার অশ্রু নিয়ে চলে যায় আসন কেঁপে ওঠে
মদিরার ক্ষণ মৃদু শিখায় জ্বলেছে
সমুদ্রের হাত জ্বরো জ্বরো
তোমার বুকের উপর নেমে আসে
দক্ষিণ বারান্দায় ঝোলানো শাড়িতে
সে দেখেছে আগুন
ঢেউ আসে, আমাকে পেরোয়
পায়ের নিচে বালি সরে যেতে যেতে দেখি
কবেকার কামিনীগুচ্ছ শুয়ে আছে
দরজায় করাঘাত শুনি