আকাশের এই অবস্থা দেখে বন্ধুরা কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা , ওরা কেউ ডাক্তার ডাকতে গেলো কেউ হস্টেল সুপারকে ডাকল । ১০মিনিট এর মধ্যে ডাক্তার এসে গেল , ডাক্তার চেকআপ করে জানালো কোন আওয়াজে ওর কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে ,কাল কি কিছু হয়েছিল ? ডাক্তারের এমন প্রশ্ন শুনে সবাই একবাক্যে উত্তর দিলো “না তো কিছু হয়নি কাল” , “কিন্তু ও যে কথা বলার ও শোনার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তাও তোমরা যত তাড়াতাড়ি পারো হাসপাতাল এ ভর্তি ব্যাবস্থা করো।” হস্টেল সুপার ও কিছু বন্ধু মিলে আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আকাশের বাবা মাকে জানানো হলো। ও দিকে বিজয়ের রুমের বন্ধু রাহুল, অমিতকে বলল কাল বিজয়ের ফোনটা তো ওর কাছে ছিল, দেখতো কে কল করেছিল ? অমিত ফোনটা নিয়ে ভাল করে দেখে কেউ তো কল করে নি । রাহুল , বিজয়ের ফোন টা নিয়ে পড়ার টেবিল এ রেখে আসে । কিছুক্ষন পর বিজয় গিয়ে দেখে তার ফোন পড়ার টেবিল এ আছে , কাল এত খুঁজলাম আর এইখানে ছিল কি যে হল আমার । এদিকে আকাশের অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন আসলো না তাই বাবা মা তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে গেল ।
আকাশ চলে যাওয়ার কিছু দিন পর আবার বিজয়ের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হল । রাহুল: “এই অমিত শোন বিজয় কাল দেখলাম রাত ১২.৩০ মিনিট এর সময় বাইরে গেল আর ১ঘন্টা পর এলো,” অমিত: – “তাই , আজ একটা কাজ করি চল ওর ফোন বাজলে আমরা ২ জন ওর আশেপাশে থেকে শুনবো কি কথা বলে।” “আচ্ছা , ঠিক বলেছিস আজ রাতে ঘুমাবো দেরিতে।” যথারীতি ১২ . ১০ মিনিট এর দিকে বিজয়ের ফোন বেজে উঠলো বিজয় আস্তে আস্তে বাইরে চলে গেল , রাহুল আর অমিত ওর পিছন দিকে দেওয়াল এর পাশে দাঁড়িয়ে শোনার চেষ্টা করছিল কি বলছে , বিজয় – “শোনো আমি আর তোমার কোন কথা শুনবো না , এ বার দেখা করতে হবে” । রাহুল আর অমিতের কানে কথাগুলো আসছে কিন্তু ফোনের ও দিক থেকে কি বলছে সেটা বুঝতে পারছে না । আবারও বিজয়ের কথা ভেসে আসছে বিজয় বলছে ,”ঠিক আছে তাই হবে কাল রাত ১২টার পর আমাদের হস্টেল এর পাশে যে পার্ক আছে ওখানে আমি অপেক্ষা করবো আর শোনো এত রাতে পার্কের দরজা তো বন্ধ থাকে পাশে একটা পথ আছে সেখান থেকে এসো।”
রাহুল – শুনলি অমিত ??? অমিত – কি বলছে রে রাত ১২টার সময় কেউ প্রেমিকার সাথে দেখা করে । রাহুল- আমার না কেমন ভয় ভয় করছে প্রেমিকার সাথে কেউ রাত ১২ টায় দেখা করে ? অমিত – যাই হোক কাল রাতে আমরা দুজনে বিজয় কোথায় যায় কি করে দেখব । পরের দিন রাতে বিজয় বের হলে ওরা দুজন বিজয়ের পিছু নেয় । বিজয় পার্কে গিয়ে বসে আছে একা । তখন ১২ টা ১০ হবে বিজয় দেখল একটা সাদা পরীর মত মেয়ে তার চেনা যেন , কাছে আসতে “তুমি ? এত দিন বলো নি কেন মিম ? তুমি কি করে জানলে আমার নম্বর ? এত রাতে তুমি বাড়ি থেকে আসলে কি করে? কোথায় থাকো এখন ?”
বিজয় এত প্রশ্ন করা দেখে তো রাহুল আর অমিত অবাক কেউ নেই অথচ কার সাথে কথা বলছে ? ভয়ে তাদের হাত পা কাঁপছে কথা আসছে না আর ।