কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আলতাফ হোসেন উজ্জ্বল (গুচ্ছ কবিতা)

শঙ্খসুরে
শঙ্খসুরে বাজনা বাজে
জয়া মায়ার -সংগীতার!
ভেড়া এসে নষ্ট করল
শুভ্র নির্মল বাজনা।
চিকনা ভেড়া মোটা এখন
হরদম আনন্দের কারিগর!
জীবন পথে চলন্ত ট্রেনে
শঙ্খসুরে বহিঃপ্রকাশ –
ঘুরে দেখা, ফিরে চাওয়া,
অশ্বরোহীর প্লাবন ।
আাশাও নাই সঙ্গীতাও নাই
সামনে শুধুই শরৎকাল।
পটভূমির সূর্য সৌন্দর্যে
বিঁধে গেলো তীর্ষক ফুল!!
সুললিত ধ্বনি শুনি
কু-ঝিকঝিক শব্দ।।
ভগ্নাবশেষে চিত্র আঁকে
চিত্রকর এঞ্জেলা।
প্রথম প্রহর ব্রত হলো
অমাবস্যা রাতে ;
এখন নাকি কর্ম সাধনে
দিচ্ছে বাণী অহর্নিশ!!
বাজনা বাজুক জ্ঞান
পরিক্রমায়,
সত্যি সুন্দর চিরমায়ায়।
-প্রস্ফুটিত ফুল ফুটুক
সহজ-কঠিন হাসনাহেনায়;
চিত্রকরের কারুকাজে
বিচিত্র দৃশ্যের আশীর্বাদ।
কথাচিত্রের চিএকলায়
চিত্র আঁকো –
সে-ই জনার!
যার সৃষ্টিতে – প্রেমের গল্প,
চিরসত্য অমর সৃজন।।
২| তুমি আমার আদুপাড়া প্রেম কানন
পথটা খুঁজে পাই
কিন্তু …
এখন আর নেই সবুজ শ্যামল মাটির দলা,
এবং…..
আছে পাথর সুরকীর রাস্তাঘাট।
সময়ে আরাধনা নবরূপে উঠেছে চিত্তাকর্ষক
শব্দ,
চক্ষু কপালে উঠে চিত্রকর এঞ্জেলা।
সাথে কথা হয়…….
চোখধাঁধানো অন্দরসাজের ক্যাফে
কুঠি সংস্কৃতি নীল ধূলোয়
পাড়া-মহল্লায় – সাথে চোখের আলিঙ্গন।
অদ্ভূত অনল প্রবাহ স্পষ্টতার দিনের
অগ্নিদূত,
কোথায় ফটক, যদি গড়ে উঠুক কালো
চক্ষে ভাবনা ধ্রুপদ সঙ্গীত শ্রাবণ বৃষ্টি
ভালোবাসা,
এহেন কৈলাস মানসে, লালিত লালসার
তৃপ্তি,
মেঘের শেষে তুমি আমার আদুপাড়া
প্রেম কানন।
এখন অচেনা কষ্ট -ছোট্ট ক’টা লাইন
গপ্পো ধারায় শহরের অলিগলি…..
মেঠোপথের দুপাশে কেবল মায়াময়
আঙুলের হস্তলিপি,
মাটিতে তোমার স্নেহময় বৃক্ষছায়ায়
ভালোবাসার আঙিনা সংগ্রাম।
আলোছায়া অমোঘ আবর্তন আদি উৎস
আমার নাম্বার বিহীন ঘর-বাড়ী।
আছে নকশা, সুদক্ষ রূপ-যৌবন মতোই
মন ভ্রমণে ঘড়ির কাটা, অজয় জয়তু আদি
শান্তি দফতর।।