কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আলতাফ হোসেন উজ্জল (গুচ্ছ কবিতা)

১|
সুন্দরী তো বটেই তুমি
আমার প্রিয় মায়া হরিণী,
চুলগুলো আলতো ছুঁয়ে
স্বপ্নে দেখেছি বহুবার,
শুনেছি বার্তা, হোঁচট খেয়ে
হৃদয়ে চোট পেয়ে
তবু ভালোবাসা রহিলো
অবিচল সদাসর্বদময়।।

২|
মায়াবী মুখ বারবার
স্বপ্ন জাগে অদৃশ্য এক
ফুটন্ত চোখে,
তা-ই তো ফিরে দেখি
তোমারই মায়াময় মুখখানি।

৩|
আমার অনুভূতি তোমাকে ঘিরে
হয়তো তোমার অজানা,
ভালোবাসার রুপটি এরুপ
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু ;
শৃঙ্খলিত রুপে আমি।

শিহরিত শিহরণ জাগলো মনে
সেই সাথে থাকে ছন্দের গতি,
বারবার ফুলের গন্ধ নাকে,
তোমারই মায়ায় অনুগ্রহে
প্রজাতির মতো বসে থাকি
এবং ভাবনায় তুমি।।

৪|
তুমি সদাসক্রিয় হৃদয়ে আমার
ভুল লিখলেও
অক্ষরগুলো হয় তোমাকে নিয়ে,
আর সব্যসাচীর প্রকৃতি ভালো লাগা
সেটাও কিন্তু তোমাকে ঘিরে;
অনুধাবন অনুতাপ অতীত বর্তমান
হৃদয়ের অন্তস্তল
আমার সকল কাব্যকলায়
জাগ্রত দেবী তুমি।।

৫|
তোমাদের বাড়ীর উত্তারাংশে
যেখানে সমাপ্তি উর্বর ভালোবাসা,
সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ
তাকিয়ে দেখি
কবিতার সূত্র তুমি
অথচ নাম লিখতেই মানা!
তাইতো তোমার জন্য
কোকিলের ক্ষনিক চিহ্ন!

৬|
বিদায় বলতে নেই, তাইতো
অলি বারবার ফিরে আসে,
কখনো শুকনো বালি-বালি
ভূমির ফসল হিসেবে,
কখনো মসৃণ দূর্বা ঘাস চিহ্নিত
রুপে!
ভালোবাসা –
কালো রঙের ছোঁয়া স্নায়ুযুদ্ধ নয়,
ভালোবাস বকুল ফুলের গন্ধ
কথা আর নয়
শুভেচ্ছা অবিরাম অন্তহীন
যেন অলি বারবার ফিরে আসে।।

৭|
ভালো থেক পূর্না
শুভ্রতায় ভরা আলো নিয়ে,
হৃদয়ে রঙে ঝলমলে রোদ্দুর্র
চিরন্তন মনের ছন্দে
পুরাণকাহিনি অবার্চীন হউক
আগামী দিনের স্বপ্নের কথায়।।

৮|
কবিতা ভালোলাগার
অগোছালো কথা,
হয়তোবা কদাচিত নীল কষ্ট
অথবা কোনো পথিকের বেশে
ভালো লাগার
অপুর্ব নীল নয়না।।

৯|
ভুলানো কি যাবে?
কি নামে তোমায় ডাকে!
হৃদয়ের উৎস হতে,
যে কন্ঠ শুনে,
তোমার পিপাসিত মনে
বারবার ফিরে তাকাতেই!
ঘন্টার বাজনার মতো
অতীত ও বর্তমান
একরাশ শুভেচ্ছা বাণী ;
যেন ফাগুনের প্রথম
দিবসের প্রভাত-স্তব।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।