সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে অনিরুদ্ধ গোস্বামী (পর্ব – ৩)

অদৃশ্য প্রজাপতি
গর্ভগৃহে দর্শন করে বাইরে এসে মন্দির প্রদক্ষিণ করলাম| বেরোনোর সময় ছোট কলাপাতায় কিছু ফুল আর চন্দন দিছিলো | আথিরা ইশারা করে বললো নিয়ে নিতে| ইতঃস্তত করছি কি করবো এগুলো নিয়ে আথিরাই সমাধান করে দিলো | বেলি ফুলের মালা গুলো খোঁপায় নিয়ে নিলো চন্দন একটু মধ্যম আঙ্গুল দিয়ে কপালে আর বুকের কাছে লাগিয়ে নিলো|
আমিও কপালে একটু ছুঁয়ে , শার্ট পরে মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে এলাম.
আথিরা :(মৃদু হেসে বললো) হোপ নাউ ইউ টি টেম্পল রিচুয়ালস অফ কেরালা ।
নীল : ইআঃ ,এন্ড থ্যাংক ইউ ফর টি হেল্প ।
আথিরা: আর ইউ স্টেয়িং এট এর্নাকুলাম ।
নীল : ইআঃ ফর লাস্ট ফাইভ মান্থস । নিয়ার মেরিন ড্রাইভ ।
আথিরা :হাউ ডু ইউ ম্যানেজ ?
নীল l:টি ওয়ে এ ব্যাচেলর মানাজেস দ্য হোল থিংস। ইউ নো ।
আথিরা :(তার বড় বড় দুষ্টউ মিষ্টি চোখে ) ওহাই ডোন্ট ইউ ফাইন্ড এ “পার্বতী “ফর ইউ?বলেই আরদাঁড়ালো না .
কি বলে গেল ? দেখি সে আর নেই .ভিড়ে মিশে গেল.
*আথিরা *
আথিরা কে সেই দিন দেখার পর কাজের চাপ এ প্রায় ভুলে গেছিলাম। এমন তো কত কি ঘটে । ঠিক তার সাত দিন পর স্পাইস মার্কেট যাচ্ছিলাম মাত্তানচেরি তে। এখানে এ হেন মসলা নেই যে পাওয়া যায় না। আজ রবিবার এ বিরিয়ানির বানাবো, তার মসলা জোগাড় করতে বেরোনো।
সবকিছু নিয়ে স্ট্যান্ড এ আমার বুলেট এর দিকে যাচ্ছি ,দেখি একটি মেয়ে স্ক্যুটি স্টার্ট দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু স্টার্ট আর নিচ্ছে না। নিজে থেকে হেল্প করা ঠিক হবে কিনা ?আমি এগিয়ে গিয়ে আমার বুলেট এ চেপে বসছি। পিছন থেকে মেয়েটির গলা কানে এলো.ক্যান ইউ হেল্প মে প্লিজ নীল?
নিজের নাম শুনে দেখি অরে এ যে সেই “টেম্পল গার্ল ” । বললো ইটস নট স্টার্টিং ।
মুখে উদ্বেগের ছাপ ,কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ,কোঁকড়ানো চুল ভিজে ।কপালে চন্দন এর ফোটা ধেবড়ে গেছে ।আজ সাদা কুর্তির সাথে নীল লেগ্গিংস । কিছুক্ষন স্টার্ট করার চেষ্টা করে বুঝলাম এ আমার দ্বারা হবে না ।
নীল: ডোন্ট ওরি এই নো এ মেকানিক হিয়ার।লেটস গো দেয়ার।
মেকানিক বললো বিকালে দেবে .
আথিরা কে বললাম; উইল ইউ মাইন্ড ইফ আই ইনভিটে ইউ ফর লাঞ্চ উইথ মি ? আই স্টে নিয়ারবাই এন্ড প্ল্যানিং তো প্রিপেয়ার এ ডেলিসিয়াস বিরিয়ানি ।
আথিরা :নো নো আই ডোন্ট ওয়ান্ট তো পুট ইউ ইন ট্রাবল নীল। এই শ্যাল বইটি হিয়ার ।
নীল :এনি রিলেটিভ ওর ফ্রেন্ড ‘স হাউস নিয়ার বাই ?
আথিরা : নো .
নীল : ওকে ,দেন নো মোর ডিসকাশন। লেটস গো টু মাই প্লেস এন্ড হ্যাভ লাঞ্চ উইথ মি ,প্লিজ ।
আথিরা :(দ্বিধাগ্রস্ত ) :ওকে ,লেটস গো দেন।
বুলেট এর পিছনে একটু দূরত্ব রেখে বসলো।হেলমেট পড়ার সময় রিয়ার ভিউ মিরর দিয়ে দেখলাম সুন্দর স্বেত কপালে কালো ছোট টিপটা জ্বল জ্বল করছে ।মুখে হালকা প্রশান্থি ছড়িয়ে আছে ।
মেরিন ড্রাইভ ধরে এসে এপার্টমেন্ট এ ঢুকলাম .
বললাম মেক ওয়ারসেল্ফ কম্ফোর্টেবল
ফ্রিজ থেকে অরেঞ্জ জুস নিলাম তাকে একটা গ্লাস এ দিয়ে নিজে নিয়ে ।ভেবেছিলাম আথিরা খুবই অস্বস্তি বোধ করবে এই বাড়িতে।
জুস এর গ্লাস নিয়ে সোজা চলে গেল ব্যালকনি তে ।
ব্যালকনি থেকে ব্যাক ওয়াটার এর দিকে চেয়ে আথিরা বললো
ওয়াও নীল ,ইউ লাইভ ইন হেভেন ,ড্যাম বিউটিফুল !
নীল :আফটার অল ইটস “গডস ওন কান্ট্রি ” এন্ড দেয়ার লিভড আথিরা ।
আথিরার দুধ সাদা গালে হালকা গোলাপি আবিরের রং চলে এলো .
আথিরা :সো হোয়াটসদ্য মেনু টুডে ?
নীল :ইটস সিম্পল চিকেন বিরিয়ানি ।
আথিরা :দেটস ডেলিসিয়াস ।উইল ইউ মাইন্ড ইফ এই কুক ইট ,বুট ইট বিল যে মালাবার বিরিয়ানি ?
নীল :ইটস অবসোলুটলি পারফেক্ট ।টেল মি হোয়াট ডু ইউ নিড ?