প্রেমজ আলিঙ্গনে কবিতা যাপনে অনন্ত গোস্বামী

১| অব্যয়

তুমি যদি আস্কারা দিতে
ভদ্র ছেলেটা একটু সাহসী হোত।
বিকেলের রোদে অফিসের নোটবুক
মন খারাপের কবিতায় ভরে যেত।
তুমি যদি বলতে দু চার কথা
শীতের সকালে ট্রামটা যেত না ফাঁকা।
তোমার হাসি ক্লান্তির চাদরে মোড়া
তোমার চোখে জলছবি হতনা আঁকা।
তুমি যদি রাখতে হাতে হাত,
ভিড় বাসটাতে উঠতে না ঠেলেঠুলে।
ঘামেভেজা শার্ট ক্লান্ত হতনা মোটে
পাতাঝরা গাছটা ভরে যেত ফুলে ফুলে।
নিম্নচাপের সন্ধ্যায় মুড়ি মাখা
দুহাতে গন্ধ রয়ে যেত আম তেলে।
তুমি যদি আঁকতে চুমু ঠোঁটে

২| শম্বুক

তোমার সাথে হঠাৎ সেদিন দেখা
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির কাছে।
আগেও তুমি ব্যস্ত ছিলে ভীষণ
আজও তোমার একটু তাড়া আছে।
অনেক দিনের পরে হোল দেখা
না হয় একটু কফি হাউসেই বসি।
মুচকি হেসে বললে তুমি
আধ ঘণ্টার হবে নাকো বেশি।
দু-কাপ কফি আর কাটলেট
মুখো্মুখি অনেক কথাই হোল।
খানিক বাদে বললে তুমি হেসে
এবার তুমি একটা কবিতা বলো।
আমি বললাম কবিতা শুনবে
শোনাই তবে ‘বাঁশি’ রবি ঠাকুরের।
তুমি বললে তোমার লেখা
যে কোন একটা মনখারাপের।
বলতে গিয়ে তোমার চোখে জল
হাত বাড়াতেই চেনা সে অভিনয়।
কি যেন একটা পড়ল চোখে!
উঠি তবে ঝড় উঠবে এবার বোধহয়।
তখনও সেই একলা ছিলে
আজও সেই একলা হয়ে বাঁচো।
মনখারাপের কবিতা লিখতে গিয়ে
পুড়েছি কত পেলে না তার আঁচও।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।