।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় অঞ্জলি দে নন্দী, মম

শরৎকালে

শরৎকালে
শিউলী ফোটে ডালে ডালে ডালে…..
বাতাবী আর আতা দোলে
শাখার কোলে।
সাফলা হাসে দীঘির জলে।
কাশের সাদা আমোদ, সারা বেলা।
এলোমেলো টুকরো মেঘের দলে
বসায় মেলা
খোলা আকাশ তলে।
জোৎস্না করে ঘরের ছাদে
আপন মনে খেলা।
ডেকে বলে
সৌখিন শান্তশিষ্ট, মিষ্ট চাঁদে,
পূর্ণিমা রাতে
উড়ন্ত, সাদা পেঁচা,
“আয় কাছে!
আমার সাথে
সুরে সুর মিলিয়ে চেঁচা!”
শরৎ সৃষ্টি রসে নাচে, নাচে, নাচে…
প্রকৃতিতে তার রানীর আসন আছে।

বর্ষা ও শরৎ

বৃষ্টি রানী পড়ে মেঘের ছড়াপাত।
আকাশ থেকে ঝরে বজ্রপাত।
নদী, পুকুর, সাগর পড়ে বাদলের ধারাপাত।
ব্যাঙেরা গায় গান।
মাছেদের তাজা তাজা তাজা প্রাণ।
মুকুট শিরে আনারসের বড়ই মান!
কলার ভেলা ভাসিয়ে জলে
দুষ্টু যত ছেলের দলে
যেথা খুশি সেথা চলে।
খুব মজা হয় জন্মাষ্টমীর রাতে!
কাঁশর, ঘন্টা বাজাই সবাই একসাথে।
আট কলাই ভাজা হাতে হাতে হাতে।
বর্ষাকালে সন্ধ্যায় গোয়ালে গোয়ালা যত
ধোঁয়া দিয়ে তারায় মশা কত কত কত…
গাভীদের তারা যত্ন করে মাতার মত।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে
লাটাই ও ঘুড়ি কিনে
ওরা ওড়ায় যত দামাল ছেলে।
রংবেরঙের পতং আকাশে ভাসে।
ভোকাট্টার লড়াই খেলে খেলে খেলে
ওরা মনের খুশিতে হাসে।
ওই দিনই আবার ওরা
অরন্ধনের বাসি প্রসাদ খেতেও বড় ভালোবাসে।
শরৎকালে মনরোম নীলিমার ‘পরে
আনমনা টুকরো মেঘেদের ইধার উধার ঘোরা।
আর শিল্পীগণ মা শ্রী দুর্গা দেবীর মূর্তি গড়ে,
অন্তরের ভক্তি ও নিপুনতা উজাড় করে।
বর্ষায় শ্রী দেবী বিপত্তারিণী মায়ের তাগায়
জীবন থেকে বিপদ দূর ভাগায়।
ব্রতের বিশ্বাস মনে শুদ্ধতা জাগায়।
ওহো ওহো ওহো!!! …
সারদোৎসব, নমোহো।
মহাষ্টমীর অঞ্জলি।
মহানবমীর বলী।
বিজয়ার হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি।
পরানখুলি জোড়ে সম্পর্কগুলি।
যুগ যুগ এসব চলে সকলই।
এরপর আসে
কোজাগরী রাত।
গগনে পূর্ণ শশী হাসে।
মা শ্রী লক্ষ্মী দেবী ভক্তদের দেন সাথ।
এই চারমাস
হর সালে ডেকে বলে,
” প্রকৃতিকে ভালবাস!
ঋতুর আনাযানায় জীন্দেগী চলে। ” …

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।