গল্পবাজে অঞ্জলি দে নন্দী, মম

কার শক্তি বেশী

এক বাঙালী পরিবার। বাবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেজো মেয়েও তাই। ছোট মেয়েও তাই। ছোট ছেলে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বড় মেয়ে এমে পাস করা স্বত্বেও বেকার। বড় ছেলে সরকারী ব্যাংকার। বড় বউ প্রফেশনাল লেখিকার জব করে। ছোট বউ বেকার। মেজো জামাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছোট জামাই ও বড় জামাই ব্যাবসায়ী। মা নিরক্ষর।
এই মা রূপে তো হত কুৎসীতা। আর কর্মকান্ড তার থেকেও কোটিগুণ কুৎসিত। এমন কোনও চব্বিশ ঘন্টা নেই যেদিন সে মিথ্যা কথা বলে নি ও ছলাকলা করে নি। বড় বৌটি মা সারদামনি দেবীর আদর্শ নিয়ে এলো ওই সংসারে। প্রতিটি মুহূর্তে ছোট ননদ, শ্বাশুড়ি ও বর সিচুয়েশন ক্রিয়েট করে তাকে ফাঁসাচ্ছে ও সবাইকে প্রমাণ দিচ্ছে যে এই বৌটি কত খারাপ। বৌটি চুপচাপ সহ্য করে। এরপর তারা বউটিকে আইনের ফাঁক রেখে, নোংড়া, নীচ, জঘন্য পলিটিক্স করে মেরে ফেলার চেষ্টা করল। বৌটি নিজেকে বাঁচাতে এবার রুখে দাঁড়ালো। সবাই মিলে তখন তাকে বাবার বাড়ি ত্যাগ করে রেখে এলো।
বৌটি দেখতো অশিক্ষিতা মাকে সব সন্তান নকল করে তার শয়তানীকে জেতাচ্ছে। শ্বশুরও শ্বাশুড়ীর গোলামী করছে। পুরো উচ্চ শিক্ষিত পরিবার একটি অশিক্ষিতাকে শুধরে দিয়ে ভালো করার চেষ্টা না করে সবাইই তার মতো কুকর্মে লিপ্ত/তা হচ্ছে। আর তাই সারা ফ্যামিলি একটি ক্রিমিনাল ফ্যামিলিরূপে বউটির ওপর নির্যাতন চালায়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করতে গিসল। কিন্তু বেঁচে গেলো।
সারাটা জীবন সে বুঝল যে অনেক শিক্ষিতা/ত দের থেকেও এক অশিক্ষিতার শক্তি অনেকগুণই বেশী।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।