সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ২৯)

না মানুষের সংসদ

স্যার আবার বলেন,
শিল্পী কেউ হয় না, হয়ে লাভও নেই । একজনই শিল্পী রয়েছেন । তিনি ভোরের আয়োজন করছেন, বিচিত্র পাখিরা ডাকছে । রোদের আঁচ বাড়াতে বাড়াতে হঠাৎ দিনের আলো শেষ করে অন্ধকার শুরু করে দিচ্ছেন । কীটপতঙ্গ, পশু-পাখিদের নিয়ে জীব-জগৎ । তাদের মূলে রয়েছে জিন, ক্রোমোজোম, প্রোটোপ্লাজম । প্রোটোপ্লাজমই প্রাণ ।
তবে সূর্য কী ?
নিজে বলেই তাকালেন শ্রোত্রিয়ের দিকে ।
চুপ করে রইল শ্রোত্রিয় ।
হঠাৎ মাস্টারমশাই কলেজের মাঠেই বসে পড়লেন । ব্যাগ থেকে রং, তুলি, মোটা ক্যানভাসের কাগজ বের করলেন । একটা কাঠের বোর্ডও সঙ্গেই ছিল ।
বললেন,
কি কি দেখছিস তুই !
তখন সূর্যের টকটকে লাল আভা বিলীন হতে শুরু করেছে । বর্ষাকাল মানে বৃষ্টির মরসুম চলে এসেছে । আকাশ কখনও কালো, কখনও সাদা । সূর্যও তাই । ভোরে ওঠে শ্রোত্রিয় । সূর্য তখন মেঘের পাখায় ভেসে ভেসে থাকে । মেঘের গায়ে কালো রং থাকলে ঢেকে যায় আবার আবছায়া হয়ে ফিরে আসে ।
কি ভাবছিস!
স্যার বললেন ।
শ্রোত্রিয় বলল,
এখন তো বৃষ্টি হচ্ছে স্যার – ভোরবেলায় দেখেছি সূর্য মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে ।
বাঃ । আর কি দেখেছিস!
শ্রোত্রিয় বলল,
পাখির গান শুনেছি ।
আর গোরুর হাম্বা শুনিস নি ! বা ছাগলের ব্যা ব্যা ।
শ্রোত্রিয় হেসে দিল । মনে মনে ভাবল এইজন্য স্যারকে কেউ কেউ পাগল ভাবে ।
কোনটাই ফেলনা নয় । সবটাই গ্রহণ করবি । দ্রষ্টা হবার চেষ্টা করবি । আমাদের যে যাগ-যজ্ঞের মন্ত্রগুলি কে লিখেছিল – জানিস !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।