অন্ধকার খাদে ঠেলে ফেলে দিচ্ছিলো কেউ…
আলোটা যেখানে আসতে আসতে যেতে যেতে কালো হয়ে গেলো
আমি গড়াতে গড়াতে পড়ে যাচ্ছিলাম….
কালোটাকে আঁকড়ে ধরে বলছিলাম….
না বলতে পারছিলাম না .. শ্বাস রোধ হয়ে আসছিলো
বুকে ভারি পাথর , যন্ত্রণায় কাতর ..
অস্ফুট স্বর.. কিছু গোঙানী… পাখির কিচিরমিচি রে সেগুলো মিলিয়ে গেল
কেউ শুনতে পেলোনা …শুনতে চাইলো না
“The falcon cannot listen the falconer.”
আরো, আরো কেউ ধাক্কা দিচ্ছে…
ডিরেল্ড মালগাড়ির মতো খুব সন্তর্পনে শেষ হচ্ছি
শিথিল হচ্ছে স্নায়ু , চোখ দিন দিন অবসন্ন…
আর কত পুড়তে হবে জানা নেই; দেহে কার্বঙ্কল |
আর কত পড়তে হবে তাও অজানা| কয়েকটা ফোস্কা…
এখন উত্থান শক্তিহীন খাদে আটকে থাকা
দধীচির মতো|
একটি নিস্প্রান নিষ্প্রয়োজন জীবন
বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ঈশ্বরকে ডাকি
পরিত্রান দাও.. মুক্ত করো – আমার দ্বারা বেষ্টিত পরিজনদের
আমি … হল্কা বেরোনো আগুন ফুলকি
যাতে দগ্ধ হয়েছে সমাজের মাননীয় মান্যবরগণ —
আমার চোখ দিয়ে ঝরে বল্লম, জিহ্বা দিয়ে গরল
ছোঁয়াতে বিষ
সুখে চলে যেতে দাও তাদের … পথ নয় অবরুদ্ধ
আমি থাকি আমার মতো খাদে বিলীন …. মৃত্যু ঘন্টা গুণী ক্রমশ |
থাক সবাই ভালো , আমার থেকে দূরে… আমি চাইনা কারো সঙ্গ |
পড়ন্ত ঝাঁকড়া চুলো গাছ গুলো অনেক আঁচড়ে কামড়ে দিয়েছে সারা দেহে
এখন তাই আরও রক্তাক্ত কালশিটে কায়াময়
ধূসর হৃদপিন্ডটা হাতে ধরে আমি গাছেদের দ্বারা খাদে পড়ে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষায়
প্রাণস্পন্দন অবশিষ্ট নেই আর…
তিলে তিলে ক্ষয়িত্ব হয়ে বিছানায় পঙ্গু হয়ে
নতুন সুর… সুরঞ্জনা—কড়ি কোমল অস্তরাগের ব্যঞ্জনা দূর হতে অন্ধকারে প্রতিধ্বনিত হয়…