কোন এক সম্ভ্রান্ত বিকেলে কাজের ঝলকানি চোখ রাঙিয়ে যদি উপহার চাই সেই সন্ধেটা! তুমি আমি মৃদু পায়ে হেঁটে গিয়ে দাঁড়াবো পাশের ওই ব্যালকনিটা তে। যদি বলি চুপটি করে চোখ নিবিষ্ট করতে দূরের ওই আকাশে! দেখবে সেখানে তখন পড়ন্ত সূর্য্যের রঙিন ছটা। মেঘেদের গায়ে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে তারা যেন আরও মোহময়ী। চারপাশ জুড়ে দলে দলে উড়ে বেড়াবে হাজারো অচেনা পাখির দল। সবারই তখন ঘরে ফেরার তাড়া।
সামনে দিয়ে বয়ে যাবে কোন এক নাম না জানা ছোট নদী। সেও যেন বিচ্ছিন্নতার গল্প বুনে যেতে চায় তার প্রত্যেকটা স্রোতে। প্রবাহের নানা ওঠা-পড়া কাটিয়ে কিভাবে সেও বয়ে চলেছে অজানার উদ্দেশ্যে!
এই সব দেখতে দেখতেই কখন যে সূর্য্য মামা ওপারে অস্ত চলে গেছে তা তুমি টেরই পাবে না। চারপাশ নিঝুম হয়ে তখন আকাশে জ্বলে উঠবে একশো তারা। টুপটাপ করে জ্বলবে আর নিববে অবিরাম। মাঝে মাঝে মেঘেদের আড়াল থেকে উকি মারবে চাঁদের কলঙ্করা। তুমি অজান্তেই মনে মনে বলবে গা ভর্তি কলঙ্ক নিয়েও কি অপরূপ চাঁদের শোভা! সেই একটা রাত নাহয় শুধুই আমরা আকাশ আর তারাদের প্রেমের গল্প শুনবো। ভালো করে কান পাতলে দেখবে প্রতি মুহূর্তে সমস্ত প্রকৃতিই রচনা করে চলেছে একের পর এক প্রেমালাপ। যদি বলি এরকম এক সন্ধ্যা, সাক্ষী থাকবো ওদের প্রেমের উপন্যাস রচনায়। তোমার ব্যস্ততা সরিয়ে, দেবে কি এমন এক সন্ধ্যা-রাত আমায়?