ফাগুনের বিরহিণী
ঘোমটা খোলো মেয়ে-
আমি তোর জন্যে শব্দের চাদর এনেছি;
নিজেকে ঢেকে নিয়ে সে এক লেখকের কাছে গেল
লেখক বলল,‘তোকে নিয়ে মিনিমাম দশ পাতা লিখব।’
কবির কাছে গেল। সে বলল-
’শরীরের আর্ধেক তো পুড়েই গেছে।কী লিখব!’
এক মন্ত্রীর কাছে গেল।সে বলল-
‘তোকে নিয়ে কিছু বলা বারণ আছে।’
সব শেষে সে তার প্রেমিকের কাছে গেল-
সে বলল,‘তুই আমার বর্ণপরিচয়, রাখালের মা
আমার বুকে তোর রক্ত হৃদয়টা রাখ-
আমি ঠিক বাল্মিকী হয়ে যাব।’
ঘোমটা খোলো মেয়ে-
তোকে ঢেকে দেওয়ার জন্যে আমি একটা
গোটা ভারতবর্ষ এনেছি।
খোলা শরীরের ওপর মাতৃস্তোত্রের হাতেখড়ি ;
শুধু প্রেমিকই বলতে পারে –
একটি অক্ষর একটি মেঘ; একটি শব্দ একটি বৃষ্টি।