সূর্য আলো ছড়িয়ে দেবার আগে দিগন্তের পাঁচমিশালি রঙে ডুবিয়ে নিলাম খাগের কলম,আজ জীবনের মহাভারতের উপসংহার লিখতে বসেছি , শুরু থেকে শেষ মনে পড়তে পড়তে লেখা হয়ে যায় উপসংহার।
অম্লমধুর আশমান থেকে ঝরে পড়ছে পারিজাত , স্নিগ্ধ আলোয় ভরে গেছে চারিদিক, সেই লেখাটাই লিখতে চাইছি যেটা পড়ে মনে হবে সুখের চাবিকাঠি সংসারের ত্রিকোণমিতি তে লুকোনোই থাকে।বরাভয় থাকলেই চাবিকাঠি কখনও সোনার কখনও রূপোর হয়ে যায়।স্পিডব্রেকার জীবনের গতিকে ধীরে করতে থাকে ,তামাটে বেদুইন মন নিয়ে মানুষ ছুটে চলে রবি ঠাকুরের গীতবিতান সম্বল করে।
এভাবেই কেটে যায় সব পর্ব , সূচিপত্রতে তেল জলের গল্প, আগুন ঘিয়ের সহবাস,সব পৃষ্ঠার হিসেব নিকেষ করা থাকে। মূলপর্বে থাকে জীবনের জয়গান,খয়েরি রঙের চুমুতে থাকে ব্যথা বিলাস সুখ।প্রেমের কবুতর একটানা চিলেকোঠায় বাসা বাঁধে।
শুধু শেষ পর্বের খোলা খাতায় থাকে অসীম রহস্য , কোনো সুপুরুষ রহস্যভেদী সেখানে দাগ কাটে দুর্বোধ্য ভাষায়, কিছুতেই পড়া যায়না সে অক্ষর। উপসংহারের শেষ দিকে অবাধ্য গুঞ্জনে সব অক্ষর ঝাপসা হয়ে যায়।পায়ের তলায় বিশাল মাটির অস্তিত্বে দেহপট মিশে যেতে থাকে …….. গ্যালাক্সী জুড়ে তখন চোখ পুড়িয়ে দেওয়া আলো…….যার বিস্তার শূন্য থেকে মহাশূন্যে।