|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় অলক্তিকা চক্রবর্তী
by
·
Published
· Updated
পুজো
‘শরীরের এই অবস্থায় কেউ উপোস করে? ডাক্তারবাবুও বললেন, এই কন্ডিশনে রোজ অন্তত তিনলিটার জলপান জরুরী। তবেই করোনা মোকাবিলা সম্ভব।’
‘কিন্তু নীলষষ্ঠীর উপোস না করে…!’
‘যা ভালো বোঝো, করো।’
উপর্যুপরি ঘরেবাইরে একই কথা শুনতে শুনতে নীলা দোটানায়। আসলে উপবাস তো উপবসতি! এতে শরীর ও মন পবিত্র থাকে। ঈশ্বরের সাথে আরো তন্নিষ্ঠ হওয়া যায়। এই নিষ্ঠা-ভক্তিটুকুই তো সব! সেই ছোটবেলা থেকেই মা-কে দেখে আসছে, নির্জলা উপবাসী থেকে, দিনান্তে নীলষষ্ঠীর পুজো করে জল খেতে। সে নিজেও তাই। মেয়ে হওয়ার পর থেকেই করে আসছে।
ক্রীং…ক্রীং..ক্রীং.
হ্যাঁ মা বলো!
… … …
কী! তুমি স্নান পুজো সব সেরে এখনও বসে আছো! সেই সন্ধ্যায় নির্জলা উপবাস ভঙ্গ করবে!
আঁতকে ওঠে নীলা। প্রায় অশীতিপর রুগ্ন শয্যাশায়ী বৃদ্ধা মা এখনও…! ও মা-কে কায়মনোবাক্যে প্রণাম করে। মুখে বলে, ‘মা তুমি খাবার খেয়ে নাও। তুমি খেলে তবেই তো আমি খাবো। লক্ষ্মী মা আমার! খেয়ে নাও।’
মায়ের খাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর নীলা নির্দ্বিধায় তার চায়ে চুমুক দেয়।