• Uncategorized
  • 0

সাতে পাঁচে কবিতায় আবির্ভাব ভট্টাচার্য

কলঙ্কলেখা

কলঙ্ক লিখি দু’হাত ভরে
মাখি দু’গালে, মুখে ও বুকে ।
বুক তো কবেই বিকিয়ে গেছে
নিবিড় স্খলনের কাছে।
কলঙ্ক! তুমি সাগরের নিচে
ঠিক কত জন্ম বন্দি ছিলে?
আমি হাত বাড়ালাম
স্পর্শ পেলাম,
শিকলের!
আমি হাত ডোবালাম
আরো নিচে,
তুলে আনলাম গরল!
আঙুল ছুঁয়ে, কলম ছুঁয়ে
খাতার পাতায়
কালিতে কালিতে লিখলাম-
কলঙ্কলেখা।
ভিটের চৌকাঠে
উনোনে
বুকের তুলসীমঞ্চে
মাখিয়ে দিলাম- শোক!
ছাদের উপর দিয়ে রোজ রাতে
নিঃশব্দে যে কালপুরুষ ভেসে যায়-
যাকে প্রণাম করে ভোরের শুকতারা-
তাকে দিলাম- মোহ!
কলঙ্ক লিখি দু’হাত ভরে
মাখি দু’গালে, মুখে ও বুকে।
এখন আমার মুখের ওপর
কালো রংয়ের ছায়া
এখন আমার বুকের ভিতর
কাজল কালো ঢেউ
এখন আমার লেখার খাতায়
তমাল গাছের বন।
শ্লোক লিখতে পারিনা বলে
এখনো কেবল কলঙ্ক লিখে যাই!
জলকে ছোঁয়ার মন্ত্র জানি না বলে
এখনো শুধুই কলঙ্ক মাখি গায়ে!
সত্য বচন লেখা হল না তাই
খাতায় জন্ম নিল তমালের বন!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।