সাগরকন্যার পাঠ আলোচনার প্রতিবেদনে – মুস্তাফা হায়দার

সাগরকন্যার পাঠ – আলোচনা অনুষ্ঠিত

কবি আল মাহমুদের ৮৪তম জন্মদিনের পরিচয় স্মারক হিসেবে সাগরকন্যার এবারের আয়েজন ছিল-তরুণদের ভাবনায় কবি আল মাহমুদ। চুরাশিজন তরুণের গদ্যে সাতজন তরুণের সাক্ষাতকার গ্রহন এবং তিন তরুণের অনুবাদে সাজানো এ কাগজটির পাঠ অালোচনা তরুমন প্রকাশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল ২০ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী শরীফ মাহমুদ। কবি ও কথাসাহিত্যিক কাগজের নির্বাহী সম্পাদক ইলিয়াস বাবরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাগরকন্যা সম্পাদক কবি মোস্তফা হায়দার।
শিক্ষবিদ ও প্রাবন্ধিক সামসুদ্দিন শিশিরের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানের অতিথি আলোচক দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সাহিত্যসম্পাদক কবি ও আল মাহমুদ গবেষক কমরুদ্দিন আহমদ কবি আল মাহমুদের মূ্ল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন- “কবি আল মাুহমুদের সোনালি কাবিন সনেট আন্তর্জাতিকতা লাভ করেছে। সনেটের জনক কবি পেত্রাক এর চেয়ে আল মাহমুদের সনেট সার্বজনিনতা লাভ  করতে পেরেছে এবং কবির পরবর্তী প্রজস্ম কবিকে সঠিকভাবে ধরতে পারার মতো একটা কাজ হয়েছে সাগরকন্যার এবারের আয়োজন। প্রজন্মরা কবিকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে কোন কার্পন্য করেনি। সাগরকন্যার তরুণ লিখিয়েদের আমি স্যালুট জানাই।
বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র সহকারী সম্পাদক পুস্পকরথ সম্পাদক কবি ও প্রাবন্ধিক হাফিজ রশিদ খান। আলোচনায় বলেন -একজন কবি সাধকের আসন ধরার মতো বাংলাদেশ বুকে নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হয়েই থাকবেন কবি আল মাহমুদ। আল মাহমুদই কবিতা ও সাক্ষাৎকারের বিনিময় সফলভাবে নিতে পেরেছেন। এ সময়ে কবিতা সম্মেলনগুলো যে কোন কবিকে সম্মান জানাতে গিয়ে যাতায়াত বিনিময়ের বিষয়ে যথেষ্ট উদাসিনতার পরিচয় দেন। অথচ কবিরা সত্যের কাছে দায়ী থাকে বলে অনৈতিকতা বা বুর্জোয়াগিরি গ্রহণ করতে পারে না। কবি আল মাহমুদও বেঁচে থাকার জন্য নিজের স্বার্থে সচেতনতার আশ্রয় নিতে গিয়ে ভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছেন। যা সময়ের সাথে যায় না। অথচ কবি আল মাহমুদ একজন ভাষা সৈনিক ও সম্মুখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।  কবি আল মাহমুদ সাগরকন্যার মাধ্যমে আবার পঠিত হতে চলেছে। সাগরকন্যা সম্পাদক ও সম্পাদনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদী র সহযোগি সম্পাদক কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। তিনি বলেন – সমালোচনা আলোচনার মাঠ পেরিয়ে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’  এবং উপমার সঠিক প্রাঞ্জল উপস্থাপনের জন্য  বাংলাসাহিত্যে  আল মাহমুদ বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় হয়েই বেঁচে থাকবেন। কবি আল মাহমুদ তিতাস পাড়ের কবি হলেও চট্টগ্রাম কে অত্যন্ত চমৎকারভাবে তাঁর কিশোর কবিতায় ধারণ করেছেন। যা অন্যরা পারেনি। আল মাহমুদ যুৎসই শব্দ প্রয়োগের জন্য সারা বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে থাকবেন। বছর কয়েকপরে ব্যক্তি আল মাহমুদের সমালোচনা হারিয়ে যাবে,বেঁচে থাকবে কবি আল মাহমুদই। তিনি আরো বলেন -আল মাহমুদকে তার পরবর্তী প্রজন্ম আল মাহমুদের বড়ত্ব উপলব্দি করে যথার্থ একটি সংখ্যা সাগরকন্যা উপহার দিয়ে আমাদের কবিদের কর্ম বেঁচে থাকার প্রয়াসও বটে। এজন্য সাগরকন্যা পরিবারকে সাধুবাদ।
অনুষ্টানের সভাপতি শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক সামসুদ্দিন শিশির বলেন  উপস্খিত দর্শকের আওয়াজহীন ধৈর্যশীল উপভোগ্য অনুষ্ঠানের সভাপতি হতে পেরে আয়োজকদের এবং উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কবি আল মাহমুদের মতো একজন বড় কবিকে নিয়ে তরুণদের ভাবনায় সাগর কন্যার এবারের আয়োজন নিঃসন্দেহে কবি আল মাহমুদের যথার্থতা বহণে সক্ষমতার পরিচায়ক। কবিরা এভাবেই বেঁচে থাকবেন পরবর্তী প্রজন্মের কাজের মাধ্যমে, ভালোবাসায় এবং চর্চায়।
উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন -গল্পকার ও অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু,কবি নুরনাহার নিপা,গল্পকার বিচিত্রা সেন, কবি আরিফা সিদ্দিকা,কবি অভি ওসমান, কবি ও মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর চৌধুরী,প্রাবন্ধিক ফারুক জাহাঙ্গীর, নিউজ চট্টগ্রাম ২৪ডট কম নির্বাহী সম্পাদক কবি মির্জা ইমতিয়াজ শাওন,কবি সামাদ দাশ,কবি আকাশ আজিজ,কবি ও শিশুসাহিত্যিক আল জাবিরী,গল্পকার আলী আসকর,কবি অভিলাষ মাুহমুদ, কবি ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ মজুমদার,কবি ও গল্পকার প্রদীপ প্রোজ্জ্বল, কবি ও শিক্ষক মাহমুদ হাসান,কবি ও ঔপন্যাসিক অনার্য আমিন,ছড়াকার সাইমুন পাশা মামুন,ছড়াকার আহমেদ পলাশ,গল্পকার মিলন বনিক, কবি ভক্ত রিয়াজ মোরশেদ সায়েম,কবি সুজন আহসান,কবি  খোরশেদ মুকুল,কবি ভক্ত তৌহিদ আরিয়ান, ছড়াকার ও চাঁদের হাঁটের সভাপতি সাইফুল্লাহ কায়সার,ছগাকার লিটন কুমার চৌধুরী, কবি ও শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, বাবুই সম্পাদক মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, কবি সায়েম উদ্দিন, গবেষক তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কিশোর ঔপন্যাসিক আরকানুল ইসলাম, কবি ও সম্পাদক আকাশ ইকবাল, ছড়াকার উৎপলকান্তি বড়ুয়া, সাগরকন্যার সার্ভিক ডিজাইনার আমিনুল রাকিব,কবি ভক্ত শাহারিয়ার,খালেদ সাইফুল্লাহ,ও মে রাসেল প্রমুখ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।