সম্পাদকীয়

লক ডাউন । অর্থাৎ তালাচাবি বন্ধ করে রাখা । নিজেদেরকে নিজেরাই আটকে রাখা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে । কারন কোরোনা নামক সংক্রামক ভাইরাস এসে গেছে কাছাকাছি ।
আমরা, এই দু হাজার সাল ছুঁয়ে থাকা মানুষেরা, মহামারীর ভয়াল রূপ দেখিনি সামনাসামনি এর আগে এ ভাবে ।
আমাদের প্রজন্ম আন্তর্জালকে আর তার সংগে যুক্ত সমস্ত প্রযুক্তিকে একেবারে চেটেপুটে পেয়েছে । আমরা
সেই অহংবোধেই বুঝি ভাবছিলাম এ পৃথিবীর অধীশ্বর আমরা । সাত সমুদ্র তের নদী আর তাতে বাস করা মানুষ ছাড়াও আর যা কিছু স্থাবর জঙ্গম সবই আমাদের পায়ের তলায় নত হয়ে আছে বুঝি ।
আমরা যাকে ডাকি প্রকৃতি , নানা ভাষায় যার নানান রকম নাম , কেউ কেউ ঈশ্বর বলেও ডাকি যাকে , তাকে যে আমাদের প্রস্তরযুগের পূর্বপুরুষরা দিবারাত্রি মাথা ঠুকে প্রণাম জানাত তা খুব অযৌক্তিক ছিল না বোধহয়। তার অসীম ক্ষমতা আমরাও হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি এবারে ।
প্রকৃতির এই সংহারক রূপের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ও , ব্রহ্মান্ডকে শ্রদ্ধা জানানোর বিনয়টুকু দামি গয়নার মত বুকে আঁকড়ে রাখলাম। আর তার মধ্যেই লেখাজোখায় ছবি সুরে নিজেদের পাখনা মেললাম ভয়ের খাঁচা ভেঙে ফেলে।
মৃত্যু এসে পাশে বসেছে বলেই প্রানের উচ্ছ্বাসকে ত বন্ধ হতে দেব না ।
বৈশাখ এসে গেছে ত ।
আর বৈশাখ মানেই ত সেই চিরসখাকে ঘিরে অজস্র প্রদীপ।
রবিরশ্মি অন্ধকার কাটিয়ে আলো জ্বালাক ঘরে ঘরে ।
সুস্থতা আসুক ।

” জয় তব ভীষণ সব কলুষনাশন রুদ্রতা –
জয় অমৃত তব , জয় মৃত্যু তব
জয় শোক তব জয় সান্ত্বনা।
জয় তব বিচিত্র আনন্দ
হে কবি, জয় তোমার করুণা।”

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।