আমরা মানুষ সেজে আছি অথচ এখনো
পর্যন্ত আমরা জীব জন্মের এই চলার পথে যে অভিব্যক্তির স্তরগুলি পেরিয়ে এসেছি তা এখনো আমাদের পিছু ছাড়েনি। আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আজও তারা চেতনায়, অবচেতনায় প্রকাশ পায়ঃ-
১. আনুগত্য, বিশ্বস্ততা, পদলেহন, অন্যের আজ্ঞাবহ জীবন — সারমেয়(কুকুর শব্দটিকে অনেকেই গালি হিসেবে ধরেন তাই সাবধানতাবশতঃ)
২. বিবেচনাবোধহীন ভাবে অন্যের অনুকরণ বা অনুসরণ — পিঁপড়ে
৩. অনাদায়ে সাধু সেজে থাকা কিন্তু সুযোগ পেলেই চৌর্যবৃত্তি — বিড়াল
৪. কাদায় নিজেকে নিরন্তর ডুবিয়ে রেখে অবোধ সুখ– শুকর
৫. যেকোনো কথার উল্টো মানে ধরে ঝুলে পড়া — বাদুড়
৬. উদয়াস্ত ভার বয়ে চলা, জীবনের আসল আনন্দের বোধই উপলদ্ধি না করা — গাধা
৭. ছুটতে ছুটতে স্বীয় লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলা — ঘোড়া।
৮. মুক্তির আরেক নাম জীবন আর গান — পাখি।
৯. বন্ধু সেজে অতর্কিতে আঘাত — শেয়াল।
১০. রঙ পরিবর্তন করে যে কোনো পরিবেশে মিশে যাওয়া — গিরগিটি।
১১. আঘাত ও হিংসাই ক্ষমতার উৎস — বাঘ
১২. বিশালত্ত্বের মধ্যে উন্মত্ততা ও অহিংসা দুই থাকে, তুমি যেভাবে তাকে ব্যবহার করবে — হাতি।
১৩. সঞ্চয়কারী কখনো ভোগী হয়
না — মৌমাছি।
১৫. অজান্তে সর্বত্র বিষ ছড়ায় — মাছি, মশা।
১৬. যতই খোলস ছাড়িয়ে নবকলেবর নাও অন্তরের বিষ ত্যাগ করার মন্ত্র তুমি কিন্তু জানো না — সাপ।
১৭. পৃথিবীর এত সুগন্ধ, সৌন্দর্য যার কাছে বিন্দুমাত্র আবেদন করে না — শকুন।
১৮. সর্বংসহা এবং নিঃশর্ত দানের অঙ্গীকার – বৃক্ষ
১৯. ক্ষুদ্র হলেও অন্ধকার দূর করার জন্মগত স্বভাব – জোনাকি।
২০. নিজের জন্মগত ঋণাত্মক দোষগুলিকে ক্রমাগত প্রচেষ্টায় আমূল-পরিবর্তন করে দুনিয়াটার রূপ রস গন্ধকে এক্কেবারে পাল্টে ফুলের ভেতর ফলের এবং বীজের ভেতর পরবর্তী বৃক্ষের সম্ভাবনার বিপ্লব জাগিয়ে দেবার দুঃসাহসিক ক্ষমতা রাখে যারা — প্রজাপতি।।
এইবার, প্রশ্ন হচ্ছে কোন বিভাগে আমি বা আমরা এখন নিজেকে দেখতে পাচ্ছি??