• Uncategorized
  • 0

সমীপেষু

অদ্য অক্ষয় তৃতীয়া। সুজনেরা বলেন আজকের দিনে যা শুরু করা যায় তা নাকি অক্ষয় হয়। আমি কিন্তু মোটেও তা বিশ্বাস করি না। অক্ষয় শব্দটির মধ্যেই ক্ষয় শব্দটি লুকিয়ে আছে। সুতরাং ওই ‘অ এ অজগর আসছে তেড়ে’ আর ‘অ এঅক্ষয় কে বা কবে ‘ আমার কাছে একই। আমার মনে হয় ক্ষয়কে যে অনিবার্য, সেই অমোঘ সত্যিকে জেনে এবং মেনে নিয়ে সময়কে কুর্নিশ করে নতুন কে শুরু করা এই দিনের ব্রত। এই জ্ঞানেরই কোনো ক্ষয় নেই। ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে পয়লা বৈশাখের দিন যে সমস্ত দোকানে হালখাতা হতো না, মনে মনে রাখতাম কারণ নিশ্চিত থাকতাম অক্ষয় তৃতীয়ার দিন তাদের দোকানে দেবদারু পাতা, কাগজের কদম ফুল ঝুলবেই। একবার এক উড়ে বাওন কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম পুজো করার পর দোকানের সামনে লেবু লঙ্কা ঝুলাও কেন। সে উত্তর দিয়েছিল যাতে নজর না লাগে নতুন খাতার শুরু কিনা
আমিও কি আজ লেবু লঙ্কা ঝুলাবো? না মানে সাহিত্য zone আজ থেকেই খাতা খুলতে চলেছে কিনা। ব্যবসা না হোক, হালখাতা না হোক, খেরোর খাতা না হোক, কবি শিল্পী সাহিত্যিকদের হিজিবিজি টানার ডিজিটাল খাতা তো বটে। সুতরাং আমি একটি লেবু লঙ্কা জোগাড় করেছি, সেই লেবু লঙ্কা টি কোথায় টাঙাবো ভাবতে ভাবতে জায়গাও পেয়েছি। সেই জায়গাটার নাম আমার পাঠক-পাঠিকাদের হৃদয়ের প্রবেশদ্বার। ভালো ও সৎ পাঠক-পাঠিকার সত্যিই বড় অভাব। নজর না লাগে।
যদিও আমার নজর কোনদিনই ওই মিষ্টির প্যাকেটগুলোর উপর থাকতো না। তার থেকে অনেক বেশি প্রিয় ছিল বাবার বাল্যবন্ধু নিতাই কাকার লজ। কারণ সেখানে এই দিনে বসিয়ে লুচি আলুর দম আর মিষ্টি খাওয়ানো হতো। আমার তো দারুণ লাগত। সেই লুচিও নেই, সেই আলুও নেই, আলুর দমও নেই। স্মৃতি আছে। স্মৃতি সততই রঙিন আমার কাছে। প্রতিটি অতীতকে পার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সেই তো জীবন। তবু এই দিনগুলো এলে লুচি আলুর দমগুলো পিছন থেকে হাত বাড়িয়ে ডাকে।
ইতিপূর্বে বেশ কিছু পত্রিকার সম্পাদনা করেছি এখনও করে চলেছি তার সঙ্গে আজ যুক্ত হলো এই নবধারার। নিজের মতন করে সাজানোর চেষ্টা করেছি আমরা। পরের সপ্তাহ থেকে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করব সাজিয়ে-গুছিয়ে। শুরুটা তো হোক সুতরাং

শাল্যদানী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।