• Uncategorized
  • 0

মোটেই সুখের হয়নি বিশ্বকবির বৈবাহিক জীবন

৭মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সেদিক থেকে কবির জন্ম তারিখ আজও মানুষের মনে অক্ষয়৷ কিন্তু কবির বিয়েটা ঠিক করে হয়নি। সেই আক্ষেপের কথা তিনি নিজেও কখনও কখনও ব্যক্ত করেছেন।
পারিবারিক আয়োজনে অখুশি হলেও নিজে নিজের বিবাহের আনন্দ প্রকাশ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। তাঁর হাতের লেখা চিঠিতে। চিঠিতে নিজেকে নিজের আত্মীয় রূপে চিহ্নিত করে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর পিতার পক্ষে সেই নিমন্ত্রণ পত্র যায়নি। প্রেরকের জায়গায় নাম ছিল রবীন্দ্রনাথের নিজেরই। নিজের বিবাহের নিমন্ত্রণপত্র নিজের হাতে লিখে প্রিয় বন্ধু প্রিয়নাথ সেন ও অন্যান্য বন্ধুদের পাঠিয়েছিলেন।
মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবীকে বিয়ের ব্যাপারে বলেছিলেন, তাঁর বিয়ের সত্যি কোনো গল্প নেই কিন্তু অপর ব্যক্তির ব্যাপারে লিখতে তিনি উৎসাহী। কবির মনের এই গোপন কষ্ট তাঁর আকাশ প্রদীপ কাব্যের ‘বধূ’ কবিতায় অপূর্ব ভাবে প্রকাশ করেছেন।তবে কবির ইচ্ছামতো পাত্রী ভবতারিণীকে যজনসমক্ষে জোড়াসাঁকোতে সাজিয়ে গুছিয়ে আনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ এর বিবাহ পরবর্তী জীবন খুব একটা সুখের ছিল না। পাঁচ সন্তানের মধ্যে খুব কম বয়সেই মেয়ে রেণুকা ও ছেলে শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে। এর মাঝেই মৃত্যুবরণ করেন তাঁর স্ত্রী.১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হয়। বিবাহিত জীবনে উনি ই মৃণালিনী বলে জানা যায়.
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।